জালালাবাদ সূর্যমূখী যুব সংঘের বিতর্ক প্রতিযোগীতা

তরুণ বিতার্কীকদের যুক্তিতে আলোর হাতছানি

Bitorko Pic 01নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এখন আর সন্তানেরা মা-বাবার কাছে চিঠি লিখতে বসে না। চিঠি পড়তে যেয়ে বাবা- মায়ের চোখে জল জমে না। যতœ করে চিঠিটা তুলে রাখা হয় না। ডাকপিয়নের অপেক্ষায় পথচেয়ে বসে থাকতে হয় না। পোস্ট অফিসে গিয়ে খোঁজ নিতে হয় না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ ও দ্রুততর হয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে শুধু দেশেই নয় দেশের বাইরে অবস্থানরত স্বজনদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করাও সহজ। ছোট মোবাইলের জন্য দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। সেই সাথে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ব্যবহার মানুষের জীবনকে আরো গতিময় করেছে। এখন আর দূরে থাকলেও অভিভাবকদের গাঢ় চিন্তায় নিমজ্জিত থাকতে হয় না। সহজলভ্য মোবাইলের বদৌলতে সহজেই অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। কিন্তু এই বিজ্ঞানই কেড়ে নিয়েছে মানুষের আবেগ, ভালবাসা, মমতা। করে তুলেছে যান্ত্রিক। তাই বিজ্ঞান একদিকে যেমন আশীর্বাদ অপরদিকে অভিশাপ।
গতকাল শুক্রবার নগরের ঝালোপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমনি নানা তত্ব, তথ্য আর যুক্তির বিতর্ক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন একদল তরুন বিতার্কিক। যদিও শেষ পর্যন্ত জয়ী হয় বিজ্ঞানের পক্ষের দল তারপরেও পিছিয়ে ছিলনা আবেগে আপ্লুত বিজ্ঞানের বিপক্ষের তার্র্কীকরা। এ যেন কোন প্রতিযোগীতা নয় নতুন প্রজন্মের আলোর পথে নিয়ে আসার হাতছানি।
বৃষ্টিস্নাত দিনেও বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে বিকেল ৫টায় শুরু হয় এ বিতর্ক প্রতিযোগীতা। প্রথমবারের মত এ প্রতিযোগীতার আয়োজন করে জালালাবাদ সূর্যমূখী যুব সংঘ। ৪জন করে মোট জন বিতার্কিক ছেলে ও মেয়ে দলে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকরে। প্রতিযোগীতায় পক্ষের দল মেয়েরা বিজয়ী হয়। সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হোন কুলসুমা বেগম চৈতী।
ঝালোপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে এবং আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রোটারেক্টর মামুন হোসাইনের পরিচালনায় প্রতিযোগীতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রিজায়ুল ইসলাম। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সিসিকের ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোটারিয়ান তৌফিক বকস্ লিপন।
প্রতিযোগীতায় বিশেষ অতিথি ও বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন ল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ড. এম শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডিবেটিং সোসাইটি সিলেট বিভাগের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক সৈয়দ সাইমূম আনজুম ইভান এবং স্টার লাইট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক বিতার্কিক মাহমুদুল হাসান তারেক।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা শাখাওয়াত হুসেন রাজু, পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য হাজী আব্বাস উদ্দীন জালালী, সমাজসেবী মামুনুর রশিদ ও হেলাল আহমদ সংগ্রাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংঘের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদি কোমল। কোরআন তিলাওয়াত করেন মাওলানা ওমর উদ্দিন রানা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি রাসেল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক আহমদ, ক্রীড়া সম্পাদক মাহমুদুল হাসান ঝুমন, সহ সম্পাদক জহির রায়হান খোকন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শিবলু, সহ প্রচার সম্পাদক রাজু আহমদ, সদস্য সচিব জায়েদ আহমদ, খায়রুল আলম, দিপু, শিমুল, মুহিম, সাজন, সজিব, তুহিন, সজিব, জুম্মান প্রমুখ। প্রতিযোগীতা শেষে অতিথিরা বিজয়ী ও বিজিতদলের তার্কীকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে এলাকার গন্য মান্য ব্যাকিতবর্গ, মুরব্বীয়ান ও যুব সমাজের বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।