সিরিজ নিশ্চিত করলো টাইগাররা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ মিরপুর স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করলো টাইগাররা। অনবদ্য ইতিহাস। রচয়িতা সেই দু’জনই। যে দু’জন ১৬ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন। ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল আর নির্ভরতার প্রতীক মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই ইতিহাস রচিত হয়েছে।
সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে দ্বিতীয় কোনো দলের বিরুদ্ধে এ অর্জন টাইগার টিমের। রোববারের এ ম্যাচে সাত উইকেটে জয়ের মাধ্যমে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে থাকলো বাংলাদেশ। এখন নিশ্চিতভাবেই লক্ষ্য ‘বাংলাওয়াশ’। ডে নাইট এ ম্যাচে টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানি দলপতি আজহার আলী। কিন্তু তার বড় রান তোলার স্বপ্ন দুমড়ে-মুচড়ে দেন টাইগার বোলাররা। পাকিস্তানকে বেধে ফেলেন ২৩৯ রানে। ২৪০ রানের সহজ টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাও দারুণ হয় বাংলাদেশের শেষ পর্যন্ত তামিম-মুশফিকের অনবদ্য ব্যাটিং নৈপুণ্যে সাত উইকেট হাতে রেখে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ২৪০ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামে আগের ম্যাচে শতক হাঁকানো টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল এবং ওপেনিংয়ে নিজেকে প্রমানের অপেক্ষায় থাকা সৌম্য সরকার। তবে, ইনিংসের তৃতীয় ওভারে জুনায়েদ খানের বলে পরপর তিনটি চার মারা সৌম্য পঞ্চম বলে উইকেটের পিছনে সরফরাজের তালুবন্দি হন। আউট হওয়ার আগে তিনি ১১ বলে ১৭ রান (৪টি চার) করেন।
২২ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানো টাইগারদের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ১০০ রানে। সাঈদ আজমলের করা ১৫তম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন মাহামুদুল্লাহ। পাওয়ার প্লে’র ১০ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় এক উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান। এর আগে ইনিংসের শুরুতে পাকিস্তানের টপঅর্ডার ভেঙে চুরমার করে দিলেও শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে সফরকারীরা ৬ উইকেটে ২৩৯ রান সংগ্রহ করে। শেষ ৫ ওভারে ৪৯ রান তোলেন সাদ-রিয়াজ জুটি। এর আগে দলীয় ৭৭ রানের মধ্যে পাকিস্তানের পাঁচ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া পাকিস্তানের হয়ে তরুণ উঠতি তারকা সাদ নাসিম ইনিংস ও ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৭৭ রান (৯৬ বলে) করে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ৬টি চারের পাশাপাশি ছিল একটি ছয়। শেষ দিকে নেমে ওয়াহাব রিয়াজ অপরাজিত ৫১ রানের একটি ইনিংস খেলেন। ৪০ বলে রিয়াজ ৫টি চারের পাশাপাশি দুটি ছক্কা হাঁকান। এ দু’জন মিলে ৮৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন।এছাড়া পাক দলপতি আজহার আলি ওপেনিংয়ে নেমে ৩৬ রান করেন। আর চার নম্বরে নামা হারিস সোহেল করেন ৪৪ রান। টাইগারদের হয়ে সাকিব দুটি আর মাশরাফি, সানি, রুবেল, নাসির একটি করে উইকেট তুলে নেন।