নবীগঞ্জে ধর্ষনের চেষ্টার মামলা নিয়ে জনতার তীর রাসেলের দিকে !
ঘটনাটি ভিকটিমের বড় বোনের অস্বীকার মামলা প্রত্যাহার না হলে গ্রামবাসীর আন্দোলনের হুমকী
নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্থগ্রামের আব্দুল কদ্দুছ এর ছেলে মোবারক সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে থানায় দায়েরী মামলা সাজানো ও মিথ্যা দাবী করে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে কায়স্থগ্রামবাসীর এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। আব্দুল কদ্দুছ মিয়ার বাড়িতে অনুষ্টিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গজনাইপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মুহিবুর রহমান চৌধুরী (হান্নান), ইউপি সদস্য খরছু মিয়া, গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি শফিক মিয়া, সাজিদ মিয়া, মামদ মিয়া, সাদ্দিক মিয়া, সাতির মিয়া, সিদ্দিক মিয়া, মনর মিয়া, গফুর মিয়া, জালাল মিয়া, রুসন মিয়া, হান্নান মিয়া, আশ^দ মিয়া, সত্তার মিয়া, আমির হোসেন, জয়তুন আলী, হারুন মিয়া, এরশাদ আলী, রেজ্জাক মিয়া, খালিক মিয়া, বাতির মিয়া, তজিম মিয়া, মুক্তার আলী প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, মোবারক, তারেক, মুক্তার, আজিরের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার ও কলেজের ছাত্রীকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে বাড়িতে নিয়ে এসে ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়েছে এমন তথ্য দিয়ে থানায় যে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। বাস্তবে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। গ্রামবাসী উক্ত মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, মামলা প্রত্যাহার না করলে মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়া হবে। এদিকে উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত হয়ে ভিকটিম কলেজ ছাত্রী রেহানার বড় বোন সাজনা বেগম জানান, তার বোন বা মামাতো বোন মাদ্রাসার ছাত্রীকে অপহরণ বা ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। পুর্ব আক্রোশে কেউ তার মামী ( মামলার বাদিনী) জলিখা বেগমকে ফুসলিয়ে উক্ত সাজানো মামলা করাতে পারে। এলাকার লোকজন জানান, লোগাঁও গ্রামের প্রাক্তন মেম্বার জিতু মিয়ার সাথে কায়স্থগ্রামের কদ্দুছ মিয়ার ছেলে মোবারকের ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। ফলে সাবেক চেয়ারম্যান পুত্র ফয়েজ আমীন রাসেল এবং জিতু মিয়া মেম্বারের মধ্যে কোটি টাকার বাড়ি নিয়ে সৃষ্ট ঘটনায় রাসেলের দায়েরী মামলায় মোবারককেও আসামী করা হয়েছে। গ্রামবাসী মনে করেন, ওই সব কারনেই জিতু মিয়ার ছেলে তারেক এবং কায়স্থগ্রামের মোবারককে ফাসাঁনোর জন্য ধর্ষনের চেষ্টার নাটক তৈরী করে মাসুক মিয়ার স্ত্রী জলিখা বেগমকে দিয়ে কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রীদের ব্যবহার করে উক্ত সাজানো মামলা দায়ের করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ভিকটিমদের পুলিশের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মুল রহস্য উদঘাটনের জন্য নবীগঞ্জ থানা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উক্ত সাজানো মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। চেয়ারম্যানের বক্তব্যের সাথে গ্রামবাসী ঐক্যমত হয়ে বলেন, ওই মামলা প্রত্যাহার না করলে অথবা মিথ্যা মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও উল্লেখ্য করেন।