সাক্ষাতের ডাক পায়নি কামারুজ্জামানের পরিবার

Kamaruzzaman Familyসুরমা টাইমস ডেস্কঃ মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল জানিয়েছেন, কারা কর্তৃপক্ষ এখনো তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাই বাবার (কামারুজ্জামান) সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারেও কিছু জানেন না তাঁরা। শনিবার সকালে হাসান ইকবাল গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
কামারুজ্জামানের ফাঁসি আজ কার্যকর করা হতে পারে। প্রাণভিক্ষার জন্য তিনি কোনো আবেদন করবেন না বলে জানানোর পর শুক্রবার তাঁর ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি শুরু হয়। তবে কাল রাতে সব প্রস্তুতির পরও রায় কার্যকর করা হয়নি।
সরকারি সূত্র জানায়, প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে শুক্রবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব জামিল ও তানভীর মোহাম্মদ আজিম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদস্থ একজন কর্মকর্তা বলেন, দুই ম্যাজিস্ট্রেটকে কামারুজ্জামান বলেছেন, তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। কিন্তু দণ্ড কার্যকর করার জন্য তিনি আরও কিছু সময় চান। নিয়ম অনুসারে তিনি সাত দিন সময় পাবেন বলে দাবি করেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ আদেশের কপি কারাগারে পৌঁছায়। কারা কর্তৃপক্ষ রায় পড়ে তাঁকে শোনায়। এরপর তাঁর কাছে জানতে চায় তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কি না।
কামারুজ্জামান এ ব্যাপারে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন। সে অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার সকালে তার আইনজীবীরা কারাগারে দেখা করেন। পরে তার আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে তিনি ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি তাঁর সিদ্ধান্তের কথা কারা কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
একাত্তরে শেরপুরের সোহাগপুর গ্রামে ১৪৪ জনকে হত্যা ও নারী নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২। রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে আসামিপক্ষ। গত বছরের ৩ নভেম্বর সোহাগপুর হত্যাকাণ্ডের দায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।