নগরীতে বিয়ের অনূষ্ঠানে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের গুলি, গাড়ী ভাংচুর ও ককটেল বিষ্ফোরন

Foysolসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেটে বিয়ের অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের বিবদমান দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ও ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার বিকেল সোয়া ৩ টায় মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তির চাচাতো ভাইয়ের বিয়েতে নগরীর সুবিদবাজারে সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি ছোঁড়ার মত ঘটনাও ঘটে। এসময় বরযাত্রীদের প্রায় ১৫টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সিলেট নগরীর পাঠানটুলাস্থ সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে সিলেট মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তির চাচাতো ভাই শরীফ খান মনির বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফয়সল আহমদ চৌধুরী এবং মহানগর ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিলু হত্যা মামলার প্রধান আসামী মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মাহবুব কাদির শাহী।
বিয়ের অনুষ্ঠানে ছাত্রদল নেতা শাহীর উপস্থিতির খবর পেয়ে জিল্লুল হক জিলুর অনুসারী ও সহকর্মীরা সেখানে যান। তাদেরকে দেখে কমিউনিটি সেন্টারের সামনে মিজান ও শাহী ভেতরে চলে যান। একপর্যায়ে জিলু অনুসারীরা সেন্টারের বাইরে বরযাত্রীদের গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। জবাবে সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বর্তমান বিএনপি নেতা ফয়সল আহমদ চৌধুরী তার লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে গুলি ছোঁড়েন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তোপের মুখে পড়ে মিজান, ফয়সল ও শাহীরা পালিয়ে যান। সংঘর্ষকালে জিল্লুর অনুসারীরা বরযাত্রীদের অন্তত ১৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
এদিকে গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিকেল ৫টায় সুবিদবাজার পয়েন্টে পরিবহন শ্রমিকরা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখে। প্রায় আধঘন্টা অবরোধের পর জালালাবাদ থানা পুলিশ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিয়ডযা) রহমত উল্লাহ সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে, গুলি ছুঁড়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার আগে উভয় গ্রুপ পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
তবে, বিয়ের অনুষ্ঠানে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি ছোঁড়ার খবর পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল হোসেন।