সাক্ষাতের অপেক্ষায় কামারুজ্জামানের পরিবার

karagarসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সঙ্গে শেষবারের মতো সাক্ষাৎ করার জন্য পরিবারের সদস্যরা অপেক্ষায় রয়েছেন।
কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী বিকেল ৫টার দিকে রাইজিংবিডিকে জানান, আইনজীবীরা তাদের (পরিবারের সদস্যদের) বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে বলেছেন। কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফোন অথবা চিঠি আসামাত্র তারা যেন সাক্ষাৎ করতে যেতে পারেন। তিনি জানান, এখনো (বিকেল সোয়া ৫টা) পর্যন্ত তারা ফোন বা চিঠি পাননি।
তিনি আরো বলেন, ‘গত সোমবার রাতে বাবার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় দূর থেকে কথা হয়েছে। বাবাকে জড়িয়ে ধরতে পারিনি। বাবার সঙ্গে শেষবারের মতো সাক্ষাতে তাকে জড়িয়ে ধরব। বাবার দেওয়া শেষ উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করব।’
মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজের রায়ের কপিতে বিচারপতিদের স্বাক্ষর শেষে ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান রায়ের কপি বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যান। এর আগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ চার বিচারপতি স্বাক্ষর করেছেন।
আদালত সূত্র জানান, বুধবার দুপুরের পর ৩৬ পৃষ্ঠার রায়ের কপিতে কামারুজ্জামানের রায় প্রদানকারী বিচারপতিরা স্বাক্ষর করেন। অন্য তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং বিচারপতি এ এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার কাছে রায়ের কপি নিয়ে যান বিচারপতি এ এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী। নিয়মানুয়ায়ী রায়ের কপিতে বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর তা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে আসবে। রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে বিচারিক আদালত ট্রাইব্যুনালে রায়ের কপি পাঠানো হবে। তারপর এটি পাঠানো হবে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে।
আইন অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে দেওয়া রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছানোর পর কামারুজ্জামানকে কারা কর্তৃপক্ষ আদেশটি পড়ে শোনাবেন এবং তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে চান কি না, তা জানতে চাইবেন। কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষা না চাইলে এরপর যেকোনো সময় দণ্ড কার্যকর করা যাবে। এর আগে সোমবার কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়ে ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। ২০১৩ সালের ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।