চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ-গ্রামবাসী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫

chuadangaসুরমা টাইমস ডেস্কঃ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দলকা লক্ষীপুর গ্রামে ওয়াজ মাহফিলের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশের শর্টগানের গুলিতে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
এলাকবাসীরা জানায়, শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় গ্রামের ওয়াজ মাহফিলের জন্য টাকা তুলছিল তারাচাঁদের ছেলে মিজানুর (১৮), শাকের আলীর ছেলে আজাবুল (১৬), জাহাবক্স’র ছেলে রিফাত (১৬), কাতু সরদারের ছেলে স্বাধীন (১৫) ও রহিম সরদারের ছেলে হুমায়ন (১৬)।
এ সময় দলকা লক্ষীপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধরে ক্যাম্পে নিয়ে প্রচণ্ড মারধর করে। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে মাগরিবের নামাজের পর গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে একযোগে ওই পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ-গ্রামবাসী সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। এতে গ্রামের গোলাপ বিশ্বাসের ছেলে মারজুল (৪০) ও বকুল জোয়ার্দ্দারের ছেলে সেলিম (২৪), জিন্নাত আলীর ছেলে মিলন (২২), আ. রহিমের ছেলে শুভ (১৬), মজনুর রহমানের ছেলে আলমগীর (২০) গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. রশীদুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, গ্রামবাসী পুলিশ ক্যাম্পে আক্রমণ করলে পুলিশ প্রথমে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। তিনি জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।