ফেঞ্চুগঞ্জে গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ফেঞ্চুগঞ্জের নুরপুর গ্রামে জেবিন আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজসক মৃত্যু হয়েছে। নিহত জেবিন ওই গ্রামের দুবাই প্রবাসী নোমান হোসেনের স্ত্রী। গতকাল শনিবার সকালে পুলিশ জেবিনের লাশ উদ্ধার করে। জেবিনের স্বামীর পরিবারের দাবি জেবিন আত্মহত্যা করেছেন। তবে তাঁর মা বলছেন মেয়েকে হত্যা করে তাঁর স্বামীর পরিবার আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে।
পরিবার সূত্র জানায়, নিহত জেবিন আক্তারের নবম শ্রেণীতে পড়ূয়া ইভা বেগম (১৪) নামের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে জেবিন আক্তারকে তার স্বামীর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নিহতের মা ফজিরুন নেছা।
দীর্ঘদিন থেকে স্বামীর পরিবারের সদস্যদের সাথে জেবিনের মনোমালিন্য চলে আসছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার উভয় পক্ষের পরিবারের মধ্যে সালিশ বৈঠকও হয়। এমনকি নানা কারণে অকারণে নোমানের পরিবারের সদস্যরা জেবিনাকে মানসিক নির্যাতন করতেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় জেবিনার স্কুল পড়ূয়া মেয়েকে দিয়ে তার পিত্রালয়ে ফোন করে জানানো হয়, তাদের মেয়ে নিজ বসত কক্ষে আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে তার মা ও আত্মীয়স্বজন ওই বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান তাদের মেয়ের লাশ বিছানার উপর রাখা।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশ নিয়ে ওই বাড়িতে পূনরায় যান নিহত জেবিনার মা ফজিরুন নেছা। তখন স্থানীয় কয়েতজন এ ঘটনাকে আড়াল করতে চাইলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে লাশ প্রেরণ করে। নিহত জেবিনের মা ফজিরুন নেছা বলেন, আমার মেয়েকে তারা হত্যা করেছে। এমনকি সম্প্রতি আমার মেয়ের জামাই নোমান দুবাই থেকে আসলেও আমার মেয়েকে এড়িয়ে চলতেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি নন্দন কান্দি ধর গনমাধ্যমকে জানান, লাশটি বিছানার উপর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গলায় হালকা একটা দাগ রয়েছে। তবে স্বামীর পরিবার দাবি করছে জেবিন আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ লাশ ময়না তদন্ত করেছে। এখন ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। লাশের শরীরের অন্যকোনো স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিলনা বলে ওসি জানান।