তাহিরপুরে জনরোষে পড়ে অন্তস্বত্তা গৃহকর্মীকে বিয়ে করলেন চেয়ারম্যান জামাল
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন কাজের মেয়ের সাথে গোপন অভিসার করে ফেসে গেছেন। তার অবৈধ সম্পর্কের কারণে মেয়েটি ৫ মাসের অন্তঃসত্বা হওয়া হয়ে পড়ায় জনরোষের মুখে গত বৃহস্পতিবার রাতে শেষ পর্যন্ত কাজি ডেকে কাজের মেয়েটিকে বিয়ে করে ঘরে তুলেন। বিয়ের মধ্যদিয়ে লোক সমালোচনার মুখ থেকে সাময়িক মুক্তি পেলেও একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এমন অনৈতিক কাজের জন্য তার আগামীদিনের পথচলা ও ভাবমূর্তি নিয়ে তার নির্বাচনী এলাকা উত্তর বড়দল ইউনিয়নের ভোটারদের মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। চেয়ারম্যান জামাল বিবাহিত, তার বিয়ের উপযুক্ত মেয়ে-ছেলে রয়েছে। এঘটনায় তোলপাড় চলছে পুরো উপজেলাজুড়ে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান জামালের ঘরে কাজের মেয়ের হিসেবে তাসলিমা বেগম (১৭) কাজ করে আসছে। সে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গুটিলা গ্রামের দরিদ্র লাল মিয়ার মেয়ে। মেয়ের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, চেয়ারম্যান তার বাড়ির লোকজনের অগোচরে মেয়েটির দিকে কুদৃষ্টি ও বিয়ের প্রলোভন দেখান। একপর্যায়ে ওই কোমলমতি কাজের মেয়েটি চেয়ারম্যানের প্রস্তাবে রাজি হলে দীর্ঘ কয়েকমাস চলে অবৈধ মেলামেশা। অবৈধ মেলা মেশার কারণে মেয়েটি গর্ভবর্তী হয়ে পড়লে চেয়ারম্যান জামাল নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নেন।
এ ঘটনায় কাজের মেয়ে তাসলিমা ৫ মাসের অন্তৎসত্বা হয়ে পড়লে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন সুকৌশলে তাকে পার্শ্ববর্তী মারাম গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে তারা মিয়ার কাছে মোটা অংকের দেনমোহড়ের মাধ্যমে সবকিছু গোপন রেখে বিয়ে দেন। বিয়ের পর তারা মিয়া তাসলিমার ৫ মাসের অন্তঃসত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে তাৎক্ষনিক তালাক দেয়। তারার সাথে তাসলিমার সুখের স্বপ্নের আলো নিভে যাওয়ায় ঘটনাটি তাসলিমা প্রথমে তার বাবা-মাকে জানালে তারা এনিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠলে নড়েচরে বসে চেয়ারম্যান জামাল ও তার তার আত্মীয় স্বজনরা। এঅবস্থায় এলাকাবাসী গুঞ্জনের মুখে পড়ে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন জনরোষ থেকে বাচঁতে তাসলিমাকে বিয়ে করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। পরে গত বৃহস্পতিবার রাতে জামাল উদ্দিন কাজির মাধ্যমে কাজের মেয়ে তাসলিমাকে বিয়ে করে তিনি পাপের প্রায়চিত্ত করলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের ব্যক্তিগত মোবাইলে বারবার ফোন করেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার অনুভূতি জানা সম্ভব হয়নি।