থানা থেকে বের হয়ে তাজুল বললেন…

advocate tajulসুরমা টাইমস ডেস্কঃ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পল্টন থানা পুলিশ। পল্টন থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি জানান, ‘আমাকে আটক করা হয়নি। এটা নিছক একটা ভুল বোঝাবুঝি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নাই। আপনারা জানেন যে, সন্ধ্যার সময় কাকরাইল মোড়ে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তখন লোকজন দৌড়াদৌড়ি করছিল। পুলিশ নাশকতাকারীদের ধরতে রোকেয়া ভবনে অবস্থিত আমাদের অফিসেও প্রবেশ করে। এ সময় অন্যান্য আইনজীবীদের অফিসগুলো বন্ধ ছিল। আমাদের অফিস থেকে মোট সাতজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।

অ্যাডভোকেট তাজুল বলেন, আটকের খবর পেয়ে অ্যাডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনির থানায় এসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশনা দেখালে এবং আইনজীবী পরিচয় পাওয়ার পর তারা আমাদের ছেড়ে দেয়।
এর আাগে তাজুল ইসলামের বরাত দিয়ে তার স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন পল্টন থানা এলাকা থেকে তাজুলকে পুলিশ আটক করে। তবে পুলিশ এ দাবি অস্বীকার করে আসছিল।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তাকে আটক করার দাবি করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে তাজুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করা হলে প্রথমে রিং হলেও পরে তা কেটে দেওয়া হয়।

এরপর ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পল্টন থানার (ওসি)র সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি তার মুঠোফোনট রিসিভ করেননি।

এর আগে কামারুজ্জামানের আইনজীবী তাজুলের স্ত্রীর বরাত দিয়ে কামারুজ্জামানের আরেক আইনজীবী শিশির মনির জানান, তাজুল তার স্ত্রীকে ফোনে জানিয়েছেন, তাকেসহ কয়েকজন জুনিয়রকে আটক করেছে পল্টন মডেল থানা পুলিশ।
জামায়াতের আইনজীবীদের চেম্বার নয়া পল্টনের সিটি হার্ট এর ১৫ তলায়। সেখানে ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বসে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় জামায়াত নেতাদের মামলা সংক্রান্ত কাজ করে থাকেন। এ চেম্বার থেকেই তাজুলকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে বলেও জানান শিশির মোহাম্মদ মনির।
পল্টন মডেল থানা পুলিশ ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে থানায় কোনো সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।