নাশকতা এড়াতে চেকপোষ্ট ; যানজটে নাকাল নগরবাসী
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধের ২ মাস অতিবাহিত হবে আজ। সিলেটে হরতাল-অবরোধে কোনোই প্রভাব পড়ছেনা জনজীবনে। মানুষজন রয়েছেন কর্মমুখী। সিলেট নগরীতে চলছে বাস-ট্রাকসহ সব ধরণের যানবাহন। গতকাল ২০ দলের ডাকা হরতাল কর্মসূচীর দ্বিতীয় দিন নগরীতে ছিল তীব্র যানজট। যানজট সামলাতে ট্রাফিক পুলিশদের খেতে হয় হিমশিম। অতিরিক্ত যানজটের কারণ হচ্ছে নগরীতে রিকশা, সিএনজি আটোরিকশা, ব্যাটারী চালিত রিকশা, সিএনজি চালিত টমপম আটোরিকশার পাশাপাশি পাল্লাদিয়ে চলেছে ট্রাক। যার কারণে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সবকটি পয়েন্টে যানজট ছিল সন্ধ্যা পর্যন্ত। বিশেষ করে নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, মিরাবাজার, শিবগঞ্জ ও টিলাগড় পয়েন্টে দিনভর যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।
এদিকে গতকাল সিলেটে হরতাল অতিবাহিত হয় একেবারেই নিরুত্তাপ। পুলিশী গ্রেপ্তার আতঙ্কে মাঠ ছাড়া রয়েছেন ২০ দলীয় জোট নেতারা। হরতাল-অবরোধের প্রথম দিকে নগরীর পাড়া-মহল্লায় নেতাকর্মীরা মিছিল-সমাবেশ করলেও সম্প্রতি তারা সকল কার্যক্রম থেকে রয়েছে দূরে। আর নাশকতা এড়াতে নগরীর প্রতিটি পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ পয়েন্টে পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশী চালিয়েছে।
এদিকে হরতাল-অবরোধে সব ধরণের যান চলাচল স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধা সেলিম আহমদ ফলিক। তিনি গনমাধ্যমকে জানান, হরতাল-অবরোধের প্রথম দিকে ১৫ থেকে ১৬ যানবাহন চলেছে। বর্তমানে প্রতিদিন ২ হাজারের উপরে যানবাহন ছেড়ে যাচ্ছে সিলেট থেকে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ গনমাধ্যমকে জানান, নাশকতা এড়াতে সবকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতেয়েন করা থাকে প্রতিদিনই, এছাড়া নগরীর বিভিন্নস্থানে চেকপোষ্ট বসিয়েও তল্লাশী চালানো হয়। মোটরসাইকেলে নাশকতা এড়াতে মাঠে কাজ করছে পুলিশের টাইগার টিমও।