শামীম ও আলী আহমদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

shamin and ali ahmedসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের শামীম ও সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। নানা প্রতিকূলতার মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর নিকটবর্তী হওয়ার কারণে দলের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন আবুল কাহের শামীম ও আলী আহমদ। বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সালা উদ্দিন আহমদ স্বাক্ষরিত পত্রে রোববার তাদের এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনে আবুল কাহের শামীম ও আলী আহমদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েও জয়ী প্রার্থীর কাছাকাছি যে পরিমান ভোট পেয়েছেন তা সিলেট বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনসহ এবং ১৯ দলীয় জোটের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
এমনকি তাদের প্রাপ্ত ভোট দেখে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও হতবাক হয়েছিলেন। এছাড়াও তাদেরকে নিয়ে সিলেটসহ কেন্দ্রের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন বিএনপির এই দুই প্রার্থী।
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করার পর সিলেটে দলীয় আন্দোলন ভাটা পড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, আলী আহমদ ও আবুল কাহের শামীম দলের সংকটময় মূহূর্তে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও আলী আহমদ দলের জন্য বিগত সময়ে নানাভাবে কাজ করে দলকে সংগঠিত করে আন্দোলন চালিয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এখন দলের মধ্যে কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে।
সূত্রে জানায়, গত ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথমে আবুল কাহের শামীমকে বিএনপি’র প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনের মাত্র তিনদিন পূর্বে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শাহ জামাল নুরুল হুদাকে দলের প্রার্থী ঘোষণা করা হয় এবং শামীমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবুল কাহের শামীম পেয়েছেন প্রায় ৩০হাজার ভোট ও নুরুল হুদা পেয়েছেন প্রায় ১৮ হাজার ভোট। আর আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী আশফাক আহমদ পেয়েছেন প্রায় ৪৪ হাজার ভোট।
একইভাবে ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৯ দলের প্রার্থী হিসাবে জামায়াত নেতা মাওলানা লোকমান আহমদকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। ১৯ দলের প্রার্থীর তথা বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশনেন জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদ। দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় বিজয়ী প্রার্থী আওয়ামী লীগের ৪০হাজার ৫২৮ এবং আলী আহমদ পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫৪৫ ভোট। এ কারণে তাকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
দুটি পৃথক চিঠিতে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ইতোপূর্বে দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের স্বার্থবিরোধী কাজের সাথে লিপ্ত থাকার অভিযোগ দলের গঠনতন্ত্রেও ৫(গ) ধারা মোতাবেক আপনাকে বিএনপি’র প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে বহিষ্কারাদেশ নির্দেশক্রমে প্রত্যাহারপূর্বক প্রত্যাহারপূর্বক স্বপদে তাদেরকে পূনরায় পুনর্বহাল করা হলো। এখন থেকে আপনি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ দলের শক্তি বৃদ্ধিতে যথাযথ ভূমিকা রাখবেন বলে দল আশা করে। সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফফার বলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরকে ফূনরায় স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে। এখন থেকে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে তারা অংশ নিবেন।
এ সংক্রান্ত অনুলিপি দলের সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: সাখাওয়াত হাসান জীবন ও সিলেট জেলা বিএনপি’র সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকে কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।