তেতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রী আহত : প্রতিবাদী জনতার অবরোধ, পুলিশের গুলি, আহত ৩

South Surma 04-03-2015দক্ষিণ সুরমা সংবাদদাতাঃ দক্ষিণ সুরমায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুলছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী ১ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশের গুলিতে এক স্কুল ছাত্রীসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের তেতলী আহমদপুর ও বলদী রাস্তার মুখে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলেই এলাকাবাসী অবরোধ করেন। সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী জেরিন আক্তার (১৪) উপজেলার তেতলী ইউনিয়নের আহমদপুর গ্রামের সমুজ আলীর মেয়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেরিনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের গুলিতে আহতরা হলেন, প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী জেরিনের সহপাঠি ইমা বেগম, তেতলী ইসলামপুর গ্রামের মৃত সিদ্দেক আলীর ছেলে জাহাঙ্গির আলম ও বলদী বিলপাড় গ্রামের উস্তার মিয়া। এদের মধ্যে স্কুল ছাত্রী ইমা ও ইসলামপুরের বাসিন্দা জাহাঙ্গিরের অবস্থা গুরুতর। গুলিবিদ্ধ ওই ৩ জনকেও সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বুধবার বিকেল ৪ টায় স্কুল ছুটির পর রাস্তা পাড়াপাড়ের সময় সিলেট থেকে ঢাকাগামি একটি ট্রাক চাপা দেয় স্কুল ছাত্রী জেরিনকে। সাথে সাথে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী রাস্তায় ইট পাথর ও গাছ দিয়ে অবরোধ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা ১০ থেকে ১২টি গাড়ি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে ৩ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। পুলিশের গুলিতে আহত হয় স্কুল ছাত্রী ইমা ও এলাকাবাসীর মধ্যে জাহাঙ্গির আলম ও উস্তার মিয়া। এসময় গুলি ছুড়তে নিষেধ করেন উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ মোশফেকুর রহমান। পড়ে তিনি এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানান, যে পুলিশ সদস্য গুল ছুড়েছেন তাকে ক্লোজ করা হয়েছে। তিনি এলাকাবাসীর কাছে অবরোধ তুলে নিতে আনুরোধ জানান। পরে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেন।
পুলিশ সদস্য ক্লোজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার এম নাসির উদ্দিন। তিনি সবুজ সিলেটকে জানান, তদন্ত করে বের করা হবে, যে পুলিশ সদস্য গুলি ছুড়েছেন তাকে ক্লোজ করার ঘোষণা দিয়েছেন ডিসি স্যার।
এদিকে সড়ত দুর্ঘটনার দীর্ঘ ১ ঘন্টার অবরোধে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সহযোগীতায় যান চলাচল স্বাভাবিক করতে আরো আধঘন্টা সময় অতিবাহিত হয় বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল।
মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (দক্ষিণ) রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, দক্ষিন সুরমার পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান এসএমপি পুলিশ কমিশনারসহ পুলিশের উধ্বতন কর্মকমর্তারা। তারা এ সময় আহতদের চিকিৎসার খোজখবর নেন এবং তাদেরকে চিকিৎসার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেন।