প্রথম আলো, মানবজমিন ও দৈনিক সংবাদ সম্পাদককে হাইকোর্টের নোটিস

Joyeeসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নগরীর শেখঘাট ভাঙ্গাটিকরপাড়া নবীন ৩৪/৩ নং বাসা থেকে অপহৃত চার বছরের কন্যাশিশু স্নিগ্ধা দেব জয়ী অপহরন মামলার আসামী অনিতা ভট্টাচার্যকে রিমান্ডে নির্যাতনের সংবাদের ব্যাখ্যা চেয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত তিন পত্রিকাকে নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট।
গত ১০ই ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
জানা গেছে, গত বছর ৩০ নভেম্বও ২০১৪ইং তারিখে জয়ী অপহরণকারী আসামীদের পক্ষে আইন শালিস কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটি রিট পিটিশন করা হয়। যার নম্বর-১১১৩৮/১৪। এর আগে দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক মানবজমিন ও দৈনিক সংবাদ আসামি অনিতাকে রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতন শিরনামে সংবাদ প্রকাশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইন শালিস কেন্দ্র হাইকোর্টে এই রিট দাখিল করে।
এরপর অপহৃত শিশু স্নিগ্ধা দেব জয়ীর পক্ষে মানবাধিকার তথ্য পর্যবেক্ষন সোসাইটির সহযোগিতায় তার মা শর্বানী দেব তুলি হাই কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে তাদের মামলা পরিচালনায় নিযুক্ত করেন। গত মঙ্গলবার ওই রিট পিটিশনটির শুনানী ছিল। বিচারপতি কাজি রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানী শেষে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সংবাদ’র সম্পাদক, দৈনিক প্রথম আলো’র সম্পাদক ও দৈনিক মানবজমিন’র সিলেট প্রতিনিধি অয়েস খসরুকে দুই সপ্তাহের মধ্যে উচ্চ আদালতের নির্ধারিত ফরম পুরন করে এফিডেবিট করে আইনজীবির মাধ্যমে উপরোক্ত আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়ে আগামি ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের তারিখ ধার্য্য করেছেন।

রিট পিটিশনের শুনানিকালে জয়ীর মা শর্বানী দেব তুলির পক্ষে হাইকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী মামলা পরিচালনা করেন এবং সরকার পক্ষে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়ের সহকারী এটর্র্নি জেনারেল জাহাঙ্গির আলম ছাড়াও আইন শালিস কেন্দ্রের আইনজীবী গণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২১ জুলাই সিলেট নগরীর শেখঘাট ভাঙাটিকর এলাকার নবীন ৩৪/৩ বাসা থেকে বেলা ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যেই অপহরণ করা হয় চার বছরের কন্যাশিশু স্নিগ্ধা দেব জয়ীকে। সে স্কুল শিক্ষক সন্তোস কুমার দেব ও সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রাজস্ব শাখায় অফিস সহকারী শর্বানী দেব তুলির একমাত্র মেয়ে।