তাহিরপুরের ৯ মাস পর বড়ছড়া শুল্কস্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানী রপ্তানী শুরু
কামাল হোসেন, তাহিরপুর: দেশের বৃহৎ কয়লার শুল্কস্টেশন তাহিরপুর সীমান্তের বড়ছড়া শুল্কস্টেশন দিয়ে অবশেষে র্দীঘ প্রায় ৯ মাস আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দু’দেশের মঙ্গল কমনায় এক দোয়া মাহফিলের পর ভারতের কয়লা রপ্তানীকারক কে ডি কোম্পানী ও বাংলাদেশের কয়লা আমদানীকারক গাজী এন্টাপ্রাইজের গাড়ি বিনিময়ে উৎসবমুখর পরিবেশে আবারও আমদানী রপ্তানী শুরু হয়েছে। ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে কয়লা ভর্তী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করার পার পরই পুরো সীমান্তেই শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ অপরদিকে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা ফিরে পেয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য। জানাযায়, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি মাত্র এই দুই দিনের জন্য ওই শুল্কস্টেশন দিয়ে কয়লা রপ্তানী চালু হলেও এ অঞ্চলের মানুষে বুকে আবারও দেখা দিয়েছে নতুন স্বপ্ন ফিরে পেয়েছে হাসির ঝঁলক। এসময় উপস্থিত ছিলেন,তাহিরপুর কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার,আমদানিকারক গ্রুপের নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খান,আমদানিকারক সমিতির উদেষ্ট হাজী জালাল উদ্দিন,আবুল খায়ের,জাহের আলী,সুজাত মিয়া,স্বপন কুমার দাস,মুজিবুর রহমান,সেলিম হায়দার,ইউনুস মিয়া,হাসান মেম্বার,ইউসুফ আলী,রাজু আহমেদ, টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আব্দুররুপ প্রমুখ। কাস্টম সূত্রে জানাযায়, ৮ ই ফেব্রুয়ারি রবিবার ভারতের মেঘালয় মাইন ওর্নাস ও এক্সপোর্টার এসোসিয়েশনের সভাপতি জুলিও সিজার রিঙাং ও সাধারণ সম্পাদক এম কার কারাঙার একটি মেইল বার্তায় তাহিরপুর বড়ছড়া –চারাগাঁও কয়লা সমিতিকে ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে ওই দুটি কয়লা শুল্কস্টেশন দিয়ে কয়লা রপ্তানির কথা জানায়। পরে সোমবার দুপুরে বড়ছড়া কয়লা শুল্কস্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানী রপ্তানি শুরুর আগে বাংলাদেশ কয়লা আদানীকারক গ্রুপের নেতৃবৃন্দ ও মেঘালয় মাইন ওনার্স এন্ড এক্সপোর্টও এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বড়ছড়া শুল্কস্টেশন এলাকার জিরো পয়েন্টে বৈঠকে বসলে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জটিলতার করণে সোমবার কয়লা রপ্তানী বন্ধ রাখা হয়। পরে মঙ্গলবার সকাল ১১ টা থেকে কয়লা রপ্তানী শুরু হয়। উল্লেখ্য,মেঘালয়ের ডিমাহাসাও জেলার পরিবেশবাদী সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের আবেদনের ভিত্তিতে গত ১৭ এপ্রিল ন্যাশনাল গ্রীণ ট্রাইব্যুনাল মেঘালয় সরকারের অবৈধ কয়লা খনন ও পরিবহন বন্ধের নির্দেশ দেন। গত ৬ মে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় মূখ্য সচিব এ ব্যাপারে ঐ দেশের প্রতিটি জেলায় নির্দেশ জারি করেন। এতে গ্রীণ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয় মেঘালয়ের জেলা প্রশাসকদের। ফলে ১৩ মে থেকে জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে কয়লা পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।