পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানের সামনে কমলগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩ মহিলা সহ ১২ জন আহত
বিশ্বজিৎ রায়, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের গোপীনগর গ্রামে ঘরের বিরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যানের সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে ৩ মহিলাসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত তিনজনকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ৫ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় এ ঘটনাটি ঘটে। পতনউষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ চৌধুরী ও ইউপি সদস্য মঈনূল ইসলাম জানান, মাস খানেক আগে গোপীনগর গ্রামের কাসেম আলী (৫০)র ছেলে রুবেল মিয়া (৩০) একই গ্রামের শেলি বেগম (৩০)-এর বাড়িতে এসে পরিবার সদস্যদের মারপিট করেছিল। এ ঘটনায় শেলি বেগম কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামী রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। কারাগার থেকে বেরিয়ে সম্প্রতি রুবেল জামিনে মুক্ত হয়ে বৃহষ্পতিবার সকালে মামলা প্রত্যাহারে বাদিনীকে হুমকি দিয়ে বসতঘরে হামলা ও মারপিট করার হুমকি দিয়ে শেলি বেগমের বাড়িতে এসে বসতঘর ভাঙ্গচুর করে। খবর পেয়ে পতনউষার ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও উপসহকারী পরিদশকসহ দুই পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে যান। এ সময় রুবেলের বাবা কাসেম আলী ও রুবেলের নেতৃত্বে দা, লোহার রড ও লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায়। প্রতিপক্ষ আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। এ সময়ে শেলী বেগম (৩০), নাসিমা বেগম (১৮), ছায়ারুন বেগম (৪০), সুমি বেগম (৫৫), বাছিত মিয়া (৫০), নেছার মিয়া (৪০), তোয়াব আলী (৩০), খালিক মিয়া (৩০), জাবদে মিয়া (২২), আবু সুফিয়ান (১৮), আব্দুল আলী (৪৪) ও এলাইছ মিয়া (৩৮) আহত হয়েছেন। আহতদের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক বাছিত মিয়া, তোয়াব আলী ও আব্দুল আলীকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শেলী বেগম বলেন, যেখানে জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের উপস্থিতে প্রকাশ্যে দা নিয়ে হামলা চালায় তাতে নিরাপত্তা নিয়ে তারা খুবই চিন্তিত। তবে রুবেল মিয়া ও তার বাবা কাসেম আলীকে পাওয়া যায়নি বলে তাদের বক্তব্য গ্রহন করা যায়নি। শমশেরনগর পুলিশ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মতিউর রহমান ঘটনার বলেন, তিনি সরেজমিন তদন্ত করে এখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছেন।