সুরমা টাইমস ডেস্কঃ দুলাভাইয়ের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রাণ দিতে হলো হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সায়হাম জুট মিলের নারী শ্রমিক কুলসুমাকে। ৬ সহযোগীকে নিয়ে দুলাভাই জুয়েল মিয়া শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে তাকে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটক মাধবপুরের সন্তোষপুর গ্রামের ইকবাল আদালতে এমন স্বীকারোক্তিই দিয়েছে। পুলিশ দুলাভাই জুয়েলসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
হবিগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে দেয়া ইকবালের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়- মাধবপুর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের সুন্দরী শ্যালিকা কুলসুমার উপর কুদৃষ্টি পড়ে তার দুলাভাই জুয়েল মিয়ার। গত কয়েক দিন থেকে জুয়েল কুলসুমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি সে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কুলসুমাকে হত্যার পরিকল্পনা নেয় জুয়েল। এরপর রবিবার রাতে ৬ সহযোগীকে নিয়ে কুলসুমাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে রাতের আধারে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে লাশ ফেলে যায়।
পুলিশ জানায়- হত্যাকান্ডের ঘটনায় কুলসুমার বাবা সন্তোষপুর গ্রামের হোসেন আলী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে সোমবার সন্তোষপুর গ্রামের ইকবালকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরবর্তীকে গ্রেফতার করা হয় কুলসুমার দুলাভাই জুয়েল মিয়া ও উত্তর বেজুড় গ্রামের দেওয়ান আলীকে। গ্রেফতারের পর ইকবাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তার জবানবন্দি থেকে বের হয়ে আসে কুলসুমা হত্যকান্ডের নেপথ্যের রহস্য। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল বাছেদ জানান, কুলসুমা হত্যা রহস্যের জট খুলে গেছে। ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।