সিলেটে ৩৬ ঘন্টার হরতালের প্রথম দিন ঢিলেঢালা ভাবে পালিত
আম্বরখানায় ককটেল বিস্ফোরণ কাজিটুলা ও শাহী ঈদগাহে ছাত্রদলের মিছিল
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, সরকারের নাশকতার ষড়যন্ত্র এবং বিএনপিসহ জোটের ১০ হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগরীসহ দেশব্যাপী ৩৬ ঘণ্টার হরতাল ও টানা অবরোধের সমর্থনে নগরীর বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে জোটের নেতাকর্মীরা। রবিবার বিকাল ৩টায় নগরীর কাজিটুলা এলাকায় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মিছিল করেছে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক লোকমান আহমদ। মিছিলটি কাজিটুলা থেকে শুরু করে নয়াসড়ক পয়েন্টে এসে শেষ হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল নেতা সাফরান আহমদ, ফেরদৌস আহমদ, আব্দুল গণি, শিপু আহমদ, তানিম চৌধুরী আপন, রাফি আহমদ, জুমন আহমদ, রাসেল আহমদ, সাজু আহমদ, তোফাজ্জল হোসেন শাওন, আজগর আলী প্রমুখ।
বেলা ২টায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য লিটন আহমদের নেতৃত্বে নগরীর শাহী ইদগাহ এলাকায় এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আব্দুল করিম জোনাক, নাহিদ আহমদ মন্টি, রাজীব আহমদ, জাবেদুর রহমান জাবেদ, অপু আহমদ, রনি প্রমুখ।
সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর আম্বরখানায় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ছাত্রদল। পরে পুলিশ দেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় তারা। পুলিশের তৎপরতার কারণে তারা সেখানে মিছিল করতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়- রবিবার সন্ধ্যায় আম্বরখানা থেকে ছাত্রদলের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী মিছিল বের করার প্রস্তুতি নেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে হাজির হয়। পুলিশ দেখেই নেতাকর্মীরা মিছিল ফেলে দৌঁড় শুরু করেন।
পালানোর সময় তারা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান এবং রাস্তার পাশের কয়েকটি দোকান লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তবে ছাত্রদলের মিছিলের চেষ্টা বা ককটেল বিস্ফোরণের কথা অস্বীকার করেছেন বিমানবন্দর থানার ওসি গৌছুল হোসেন। সন্ধ্যা ৬টায় তিনি আম্বরখানা বড় বাজারের রাস্তার মুখে অবস্থান করছেন দাবি করে বলেন- ওই এলাকায় এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি।
শাহপরাণ গেইট এলাকায় তামাবিল-সিলেট সড়ক অবরোধ করে মিছিল সমাবেশ করে সিলেট মহানগর জামায়াত। মিছিল পরবর্তী সংপ্তি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা চৌধুরী আব্দুল বাছিত নাহির, মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা ফয়জুর রহমান, ছাত্রশিবির নেতা ইসলাম উদ্দিন ও মিজানুর রহমান প্রমুখ।
ভোর থেকেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ হালকা দু’একটি যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। নগরীর কদমতলী বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো যানবাহন। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। দোকানপাটও ব্যাবসা বানিজ্য প্রায় স্বাভাবিক ছিল।