সিলেটে পুলিশের সাথে ছাত্রদলের সংঘর্ষ : ২০ রাউন্ড গুলি, আটক ১৩

গেইটের ফাক দিয়ে বাসার ভিতর পুলিশের গুলি (ভিডিও)

Sylhet Police 04-01-2015সুরমা টাইমস ডেস্কঃ রবিবার ৪টা ১০ মিনিটের সময় জিন্দাবাজার পয়েন্টে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে পুলিশের সাথে ছাত্রদলের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ অন্তত ২০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। ছাত্রদল নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যান। সংঘর্ষের সময় পুলিশ ১৩ জনকে আটক করে।
oc asadপ্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়- জিন্দাবাজার কাজী ইলিয়াস আবাসিক এলাকার গলির মুখ থেকে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদের নেতৃত্বে মিছিল বের করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। মিছিলটি জিন্দাবাজার পয়েন্টে আসলে পুলিশ বাঁধা দেয়। পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা করে মিছিলটি সামনের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ মিছিল থেকে ছাত্রদল নেতা জি এম আজমকে আটক করে। এসময় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা পিছু হটে লতিফ সেন্টারের সামনে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। একপর্যায়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাঁতীপাড়া গলির ভেতর দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি নাসিম হোসাইনের বাসাসহ আশপাশের আরও কয়েকটি বাসা থেকে অন্তত ১২ জনকে আটক করে পুলিশ।
সিলেট কোতোয়ালী থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান- ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ ১৮-২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পালানোর সময় অন্তত ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
sylhet-04-01-2015ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ধরতে অনেকটা রুদ্রমূর্তি ধারণ করে পুলিশ। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তাঁতীপাড়ার বিভিন্ন বাসা ও দোকানে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে ১৩ জনকে আটক করে পুলিশ। এসময় কোতয়ালি থানার ওসি আসাদুজ্জামান তাঁতীপাড়াস্থ সালমা হাউজ নামের একটি বাসার গেট লাথি দিয়ে খোলার চেষ্টা করেন। লাথি দিয়ে গেট খুলতে ব্যর্থ হলে তিনি গুলি ছোঁড়ার নির্দেশ দেন। এসময় একজন পুলিশ সদস্যকে গেটের ফাঁক দিয়ে গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়। গুলির শব্দ শুনে বাসার ভেতরের লোকজন চিৎকার করতে থাকেন।ওসি আসাদ্দুজজামানকে দেখা যায় ফিল্মি স্টাইলে ঐ বাসার গেইটে উড়ে গিয়ে লাথি মারতে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোতোয়ালী থানার ওসি আসাদুজ্জামান ওই বাসায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আশ্রয় নিয়েছে জেনে গেইটে সজোরে লাথি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্যও গেইটে লাথি মারেন। এসময় ওসির নির্দেশে গেইটের ভিতর বন্দুকের নল ঢুকিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পুলিশ। পরে গেইট না খোলায় রাস্তা থেকে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।