সুন্দরবনে মিললো ডায়াবেটিসের মহৌষধ!
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিলুপ্তির পথে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। সেই বনে মিলল মহৌষধ। এখানকার বিখ্যাত সুন্দরী গাছের মূলে রয়েছে ডায়াবেটিস প্রতিরোধী ওষুধ।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০১০ সাল থেকে এই গবেষণা শুরু হয়। সেই গবেষণায় পাওয়া গেছে, ডায়াবেটিস রোগের প্রচলতি ওষুধের সঙ্গে সুন্দরী গাছের মূলে পাওয়া প্রাকৃতিক ভেষজ মেশানো হলে রোগ সারবে দ্রুত।
এই গবেষণার ফলাফল ইতিমধ্যেই ‘এপনো ফার্মাকোলজি’, ‘জার্নাল অব আয়ুর্বেদা’, ‘ফার্মানেট’, ফার্মাকোলজি সোসাইটির জার্নাল প্রভৃতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক ডা. অঞ্জন অধিকারি এই খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সুন্দরীর মূলে ‘ফ্ল্যাভোনয়েবস’ নামে এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থের সন্ধান মিলেছে। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং প্রাণী দেহে ব্যবহার করে দেখা গেছে, সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে সফল।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই উপদানটি সুগার স্বাভাবিক করে দেয়। স্বাভাবিক মাত্রার তুলনায় আরও কমিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার বিপদ ডেকে আনে না।
এখন গবেষকদের লক্ষ্য, উপাদনটিকে আরও ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা এবং এটির পেটেন্ট নেয়া। আর জি কর মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা যায়, ভবিষ্যতে ট্যাবলেট আকারে বাজারে আনার ব্যাপারে সরকারি ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল কেমিকেল আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, ‘বাদাবন’ এর বহু মানুষ সুন্দরী গাছের পাতা, মাটি ভেদ করে উঠে আসা শ্বাসমূল ও অন্যান্য অংশ খেয়ে থাকেন। ওই বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের মধ্যে বড়সড় মড়ক, জটিল অসুখ বা একসঙ্গে বহু মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এই চমকপ্রদ তথ্য পাওয়ার পর ওই গাছ নিয়ে শুরু হয় গবেষণা।