আমরা চাই নিরাপদ ও মর্যাদাভিত্তিক অভিবাসন

জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে মোমেন

জাতিসংঘের অধিবেশে ভাষণ দিচ্ছেন স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে মোমেন। ছবি- এনা।
জাতিসংঘের অধিবেশে ভাষণ দিচ্ছেন স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে মোমেন। ছবি- এনা।

নিউইয়র্ক থেকে এনা: আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের হাইলেভেল ডিবেটে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড.এ.কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা চাই নিরাপদ অভিবাসন, মর্যাদা ভিত্তিক অভিবাসন এবং ২০১৫ উত্তর ডেভলপমেন্ট এজেন্ডার মধ্যে অভিবাসী অধিকার নিশ্চিত করতে চাই । তিনি বলেন, দেশের প্রায় ৮৫ লাখ লোক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। গত তিন দশকে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ পদ্ধতিগত উন্নয়নে বিশেষ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। বিশেষ করে এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনয়নে ডিজিটালাইজড ডাটা ব্যাংক, দক্ষ কর্মী বাহিনী গড়ে তোলা, সরকারী অর্থ সহযোগিতায় সরকারী পর্যায়ে শ্রমিক পাঠানোর মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় দুটি দেশের সরকারী পর্যায়ে চুক্তির ভিত্তিতে শ্রমিক পাঠানো হয়েছে। অভিবাসী শ্রম ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার কারণে বাংলাদেশে রেমিটেন্স বেড়ে চলছে। আগামী দেড় দশকে বিশ্ব অর্থনীতির গতি পরিবর্তন, জলবায়ূ পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে হবে। এ কারণে অভিবাসী ব্যবস্থাপনার সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে সমন্বয় করে এগিয়ে নিতে হবে।
ড.এ.কে আব্দুল মোমেন আরো বলেন, যে কোন দেশে অভিবাসীদের কাজের পরিবেশ তৈরি করতে হবে সেদেশের জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে। একই সঙ্গে স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অভিবাসীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তাছাড়া তাদের সামগ্রিকভাবে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের কাজে লাগিয়ে সংশ্লিষ্ট দুটি দেশেরই লাভজনক অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। আগামী বিশ্ব ব্যবস্থায় গ্লোবালাইজেশন বা বিশ্বায়নের যে প্রভাব সেখানে উন্নত বিশ্ব যেমন প্রতিভাবানদের খুঁজে নিচ্ছে, তেমনি দক্ষ কর্মীরও চাহিদা রয়েছে। বৈশ্বিক মানব সম্পদের উপযোগ কার্যকর ব্যবহারে সরকারী-বেসরকারী, জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আইনী প্রক্রিয়া শক্তিশালীকরন এবং প্রায়োগিক সমন্বয়ই আগামীর চ্যালেঞ্জ, সেটি মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। উপস্থিত সকলের কাছে তাঁর বক্তব্য ব্যাপক প্রশংসিত হয়।