গোয়াইনঘাটে ছাত্রীকে যৌন হয়রাণীর অভিযোগে শিক্ষককে গণধোলাই
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধিঃ গোয়াইনঘাটে পিএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে যৌন হয়রাণী করার অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক ফারুক আহমেদকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার মামার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাত ১০ টায় গোয়াইনঘাট থানার পুলিশ জনতার রোষানল থেকে ঐ শিক্ষককে উদ্ধার করতে আসলে উত্তেজিত জনতা ও পুলিশের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। পুলিশ ঐ শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার জিম্মায় তাকে দিয়ে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বল্লাপুঞ্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদ তার বিদ্যালয়ের এবারের পিএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন থেকে যৌন হয়রাণী করে আসছে। হয়রাণীর শিকার ঐ ছাত্রী বিষয়টি তার অভিবাবকদের অবগত করলে গত ২৫ নভেম্বর ছাত্রীর অভিবাবক অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদ তার ভাড়া বাসায় প্রাইভেট পড়ানোর অজুহাতে এবং শ্রেণী কক্ষে প্রায় কয়েকমাস যাবত ঐ ছাত্রীকে যৌন হয়রাণী করে আসছে। বিষয়টি যেন কারো কাছে প্রকাশ করা না হয় সে জন্য হয়রাণীর শিকার ঐ ছাত্রীকে পিএসসি পরীক্ষার প্রবেশ পত্র দিবেনা এবং সেই সাথে তাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারুক আমেদ। যৌন হয়রাণীর শিকার ঐ ছাত্রী জানান, তার মত অনেক ছাত্রীর সাথে অতীতেও এমন আচরণ করেছে প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমদ। বর্তমানেও অনেক ছাত্রীর উপড় এ শিক্ষকের কু-নজর রয়েছে। কিন্তু লোক লজ্জার ভয়ে অনেকেই তা প্রকাশ করতে পারছেনা। শিক্ষক ফারুক আহমেদ প্রাইভেট পড়ানোর নাম করে মামার বাজার এলাকায় তার ভাড়া বাসায় ছাত্রীদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে এমন অসৌজন্য মূলক আচরণ করে আসছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বল্লাপুঞ্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদ বলেন, ছাত্রীকে যৌন হয়রাণীর বিষয়টি সত্য নয়। স্থানীয় কিছু ভূমি খেকো রয়েছে তারা বিদ্যালয়ের জায়গা আত্মসাত করার চেষ্টা করলে আমি বিদ্যালয়ের ভূমি রক্ষার্থে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। এরই প্রেক্ষিতে ভূমি খোকোরাই সোমবার রাতে আমার উপড় হামলা চালায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমেদ বলেন, ছাত্রীকে যৌন হয়রাণীর বিষয়ে আমার কাছে লিখিত একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। তারপরও শিক্ষকের উপড় এমন হামলা করা খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।