এ বিয়ে রাজার বিয়ে!
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ফুরফুরে মেজাজে রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। গায়ে নতুন স্যুট, পোশাকের সঙ্গে মানানসই টাই। আর চারপাশের আয়োজনে শুধু চাকচিক্যই নয়। পুরোপুরি রাজসিক। যেন বিয়ের আসরে রাজকুমার!
মন্ত্রীর বৌভাত উপলক্ষে জাতীয় সংসদের এলডি হল সেজেছে বর্ণিল সাজে। শুক্রবার সন্ধ্যার পরই এলডি হলে শুরু হয় মন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের বৌভাত অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানস্থলে আলাদা স্টেজে বসেন কনে হনুফা আক্তার।
মহাজোট সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি, সাংবাদিকসহ সমাজের বিভিন্ন পেশার লোকজন আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে আসেন। আগত অতিথিদের খোশগল্পে বৌভাত অনুষ্ঠান উৎসবে রূপ নেয়।
৬৯ বছর বয়সে এসে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক শুরু করেন জীবনের নতুন অধ্যায়। বিয়ে করেছেন কিছুদিন আগে। আর এখন সারলেন বৌভাত।
পাঁচশ’ খাসি আর পাঁচ হাজার মুরগি দিয়ে চলেছে অতিথি আপ্যায়ন। বৌভাতের এই প্রস্তুতি শুরু হয় ৩ নভেম্বর থেকেই। ওই দিন থেকে ৪০ জন লোক এখানে রাত-দিন ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বৌভাত অনুষ্ঠানের কাজে। অর্থাৎ মোট ১১ দিন লেগেছে শুধু অতিথি আপ্যায়নের ডেকোরেশনেই।
মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা জানান, বৌভাতে ছয় হাজার আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। অনুষ্ঠানে ভিআইপিদের জন্য এলডি হলের ভেতরে রাখা হয় বিশেষ ব্যবস্থা। ছিল তিন হাজার আটশ’ লোকের একসঙ্গে বসে খাওয়ার সুযোগ। বৌভাতের মেনুতে বিশেষ খাবারের মধ্যে ছিল খাসির বিরিয়ানি, মুরগির রেজালা, বোরহানি ও জর্দা।
গত ৩১ অক্টোবর মন্ত্রী মুজিবুল হক নিজের জীবন সঙ্গিনী হিসেবে বেছে নেন হনুফা আক্তার রিক্তাকে। প্রথম বৌভাত অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় কুমিল্লায়।
এদিকে, মন্ত্রীর বৌভাত অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলডি হলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে চতুর্দিকে বসানো ছিল ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা), ছিল অতিরিক্ত পুলিশ প্রহরাও।
শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রী পুরো অনুষ্ঠানস্থলকে সিসিটিভির নিয়ন্ত্রণে আনার ইচ্ছে ব্যক্ত করলে সংশ্লিষ্টরা বৌভাত অনুষ্ঠানস্থলে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নেন। মূলত অনুষ্ঠানে বহিরাগত, ছিঁচকে চোর ও ছিনতাইকারী এবং পকেটমারদের দৌরাত্ম ঠেকাতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়।