শ্রীমঙ্গলে হেযবুত তাওহীদের বই সহ আটক ১

Hifbut-Tahrirমধু চৌবে,শ্রীমঙ্গল থেকেঃ শ্রীমঙ্গলে সন্দেহভাজন হিসেবে হেযবুত তাওহীদের একজনকে আটক করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। শ্রীমঙ্গলে দৈনিক দেশের পত্র প্রত্রিকার ব্যানার টাঙ্গিয়ে হেযবুত তাওহীদের বই বিক্রি করার সময় আটক হয় ব্যাক্তিটি। আটককৃত ব্যাক্তির ভিজিটিং কার্ড দেখে জানা যায় তার নাম মো. নুরুল আবসার সোহাগ তিনি সিলেট অঞ্চলের দেশের পত্র প্রত্রিকার ব্যুরো প্রধান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নুরুল আবসার সোহাগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ওই পত্রিকার ব্যানরে ‘সর্বধর্মীয়’ আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলেন। সভা চলাকালীন সময়ে তার সাথে থাকা অন্যরা তখন হিজবুল তত্তহীদের বই বিক্রি করছিল। এসময় উপজেলা হল রুম থেকে পাওয়া দেশের পত্র প্রত্রিকার প্যাড থেকে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক ওই সভার সভাপতিত্ব করার কথা ছিল। অনুষ্টানের প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যার রনধীর কুমার দেব। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ মনির সাধারন সম্পাদক এমএ মন্নান, জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও পুনর্বাসন সম্পাদক এমএ রহিম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যার প্রেম সাগর হাজরা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অজয় কুমর দেব, সাধারন সম্পাদক ডা. হরিপদ রায় সহ দশজনের নাম লিখা ছিল। তবে তাদের কেউই ওই অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেননা। এদিকে এ বিষয়টি জেনে জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও পুনর্বাসন সম্পাদক এমএ রহিম উপজেলা পরিষদে গিয়ে হিজবুল তত্তহীদের বইসহ নুরুল আবসার সোহাগকে আটক করে পুলিশে দেন।
উপজেলা চেয়ারম্যার রনধীর কুমার দেব বলেন, তারা অনুমতির জন্য আবেদন করেছিল। বিষয়টি আমার সন্দেহ হলে আবেদনটি অফম ইউএনও কে মার্ক করে দেই। আমি ওই অনুষ্টানে যাইনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক বলেন, এরকম একটি আবেদন উপজেলা চেয়ারম্যান আমাকে মার্ক করে পাঠিয়েছেন। আমি অনুমতি দেই নাই। তবে গতকাল বুধবার রাতে সমাজকল্যান মন্ত্রী মহোদয়ের মৌখিক নির্দেশে আমি তাদেরকে আজ (বৃহস্পতিবার) উপজেলা পরিষদের মিলনায়তন ব্যবহারের জন্য খুলে দিয়েছি।
শ্রীমঙ্গল খানার ওসি মো. আব্দুল জলিল বলেন, আটককৃত ব্যাক্তির সম্মন্ধে অনুসন্ধান চলতেছে তবে তাদের কার্যক্রম সন্দেহজনক।হিন্দু-বোদ্ধ-খ্রিষ্টান এক্য পরিষদের সভাপতি অজয় কুমার দেব বলেন, এরমক কোন অনুষ্টানের সর্ম্পকে আমি কিছু জানি না।