যুক্তরাষ্ট্র- বাংলাদেশ অংশিদারিত্ব সংলাপ : সন্ত্রাসবাদ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি গুরুত্ব পাচ্ছে
নিউইয়র্ক থেকে এনা: উন্নয়ন, সুশাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা এ তিন ইস্যুতে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ- যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দুই দিনের পার্টনারশীপ ডায়ালগ বা আংশিদারি সংলাপ শুরু হয়েছে ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার (নিউইয়র্ক সময় অনুযায়ী)। একাধিক কূটনৈতিক সূত্র থেকে জানা যায়, তৃতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত এ সংলাপে মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েল্ডি শারম্যান। এর বিপরীতি বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সামাজিক শান্তি ও উন্নয়ন ইত্যাদি গুরুত্ব পাচ্ছে এ সংলাপে। এ ছাড়া বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিস্থিতি, শ্রমিক অধিকার এবং জিএসপি সুবিধা পুনবর্হালের ব্যাপারটিও আলোচনায় এসেছে। সূত্র জানায়, দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ব্যাপক ভিত্তিক বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তিনটি ওয়ার্কিং গ্রুপে। এই গ্রুপগুলো উন্নয়ন ও সুশাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছে বলে জানা যায়। একই সাথে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন। দুই দেশের মধ্যে বিদ্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ অংশিদারিত্ব সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো উল্লেখ করেছে। এ আলোচনায় প্রধান বিরোধী দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার দিগন্ত প্রসারের ব্যাপারটিও গুরুত্ব পাচ্ছে।
দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশ বিশ্বের এই অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকাগুলোর মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তুলতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার ঘনিষ্ঠ বন্ধনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে অংশিদারিত্ব সংলাপের এই সুযোগকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায় বলে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য ২০১২ সালের মে মাসে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের ঢাকা সফরকালে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের মধ্যে নিয়মিত অংশিদারিত্ব সংলাপের জন্য চুক্তি সই হয়। একই বছর ওয়াশিংটনে প্রথম অংশিদারিত্ব সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় অংশিদারিত্ব সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালের মে মাসে ঢাকায়। এবার হচ্ছে ওয়াশিংটনে তৃতীয় অংশিদারিত্ব সংলাপ।