সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া ও ভারতের মতো বাংলাদেশও এগিয়ে যাবে

1ডেস্ক রিপোর্ট :: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভারতের মতো বাংলাদেশও একইভাবে এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য মোহাম্মদ নাসিম।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী (৩০ এপ্রিল) উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কাজ দিয়েই জনগণের মন জয় করতে হবে। তবেই শেখ হাসিনার সরকার বারবার নির্বাচিত হবে।

দেশের স্বাস্থ্যখাতে বিএসএমএমইউকে চিকিৎসাসেবা ও গবেষণার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে সব ধরণের সহায়তা দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অত্যন্ত আন্তরিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্সি চিকিৎসকদের জন্য মাসিক বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবীব-ই-মিল্লাত এমপি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান, স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ এস এম জাকারিয়া ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান।

সমসাময়িক ঘটনার উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা ও বাধা উপেক্ষা করেই অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণ করা হবে। দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হচ্ছে বলেই সরকারকে অস্থিতিশীল করতে একটি বিশেষ মহল গুপ্ত হত্যা চালাচ্ছে। এসব হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। তবে ষড়যন্ত্রকারীরা শেষ পর্যন্ত পরাজিত হবেই।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি প্রাণবন্ত। বিকেলে, সন্ধ্যায় এমন কি রাতেও সিনিয়র অধ্যাপকবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ নিয়মিত রাউন্ড দিচ্ছেন।

সন্ধ্যায় অনেক শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন। চিকিৎসকবৃন্দ তার কর্তব্যরত ওয়ার্ডে, বহির্বিভাগে যথাসময়ে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। নার্সরা নিজ হাতে রোগীদের ওষুধ খাওয়াচ্ছেন। সবমিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, এটা দেশের সকল মানুষের বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হবে।