আত্মহত্যা করলেন অভিনেত্রী নায়ার রহমান লোপা

Nayar Rahman Lupaসুরমা টাইমস ডেস্কঃ হুমায়ূন আহমেদের ‘এইসব দিনরাত্রি’ ধারাবাহিক নাটকে টুনি চরিত্রে অভিনয় করে সবাইকে কাঁদিয়েছিলেন নায়ার রহমান লোপা। এবার সত্যি সত্যি সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। এক সময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ ধারণা করছে, দাম্পত্য কলহের জের ধরেই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এখন তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন।

বিটিভির ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘এইসব দিন রাত্রি’তে টুনি চরিত্রটির জীবন রক্ষার জন্য সারা দেশের
মানুষ চিঠি লিখে অনুরোধ জানিয়েছিলেন নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদকে। অসাধারণ টুনি চরিত্রের সেই রূপদানকারী অভিনেত্রী নায়ার রহমান লোপা (৩৫) আত্মহত্যা করেছেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার গুলশানের নিজ বাসার বেডরুমে আত্মহত্যা করেন তিনি। স্বামী আলী আমিনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের কারণেই এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় গুলশান থানায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে তার স্বামী আলী আমিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা রাজিয়া সুলতানা। মামলা দায়েরের পর লোপার গুলশানের বাসার সামনে থেকে আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় লোপার পরিবারের পক্ষ থেকে গুলশান পুলিশকে লোপার আত্মহত্যার খবর জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যায় লাশ উদ্বার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। লোপার মা রাজিয়া সুলতানা ওই দিন রাত পৌনে ১০টায় লোপার স্বামী আলী আমিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাজিয়া সুলতানার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী আমিনের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না লোপার। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মাঝে মধ্যেই দু’জনের বাগবিতণ্ডা হতো। আমিন মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি মাঝে মধ্যেই শারীরিক নির্যাতন চালাতেন লোপার ওপর। তার অভিযোগ, অতিরিক্ত অত্যাচার সইতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছেন লোপা। লোপার স্বামী আমিন বেঙ্গল তোয়ালে ইন্ডাস্ট্রিজে কর্মরত। এ দম্পতির আনহা আমিন (৯) এবং আজারি আমিন (৬) নামে দু’টি সন্তান রয়েছে। লোপার গলার ডান দিকে ও বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনাটি আত্মহত্যা কিনা তা ময়নাতদন্তের পরপরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।