জকিগঞ্জ পৌর উপ-নির্বাচন : লড়াই হবে ত্রিমূখী
জকিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের আনুষ্টানিক প্রচার প্রচারনা গতকাল মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। আগামী কাল শনিবার ৯টি ওয়ার্ডের ৫০০৩ জন পুরুষ ও ৫১২৭ জন মহিলা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পৌর মেয়র নির্বাচন করবেন। শেষ মুহুর্তে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রতিশ্র“তি দিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন ৫ মেয়র প্রার্থী। ভোটারের সমর্থন আদায়ে র্নিঘুম প্র্চারনা ”ালাচ্ছেন তাঁরা। ভোটাররা ধারণা করছেন শেষ পর্যন্ত ত্রিমূখী ভোটের লড়াই হতে পারে।
মেয়র পদে তালা প্রতীক নিয়ে পৌর জাপার সভাপতি আব্দুল মালেক ফারুক, চশমা প্রতিক নিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালিক (সতন্ত্র), কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে সমাজসেবী আব্দুর রহমান লুকু (সতন্ত্র), দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে সোনার বাংলা সমবায় সমিতির এমডি জাফরুল ইসলাম (সতন্ত্র), আনারস প্রতীক নিয়ে জামায়াত সর্মথিত প্রার্থী ইমরান হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে ত্রিমূখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে বেশীর ভাগ ভোটার ্এ প্রতিবেদকে জানিয়েছেন। প্রচার প্রচারণায় ও লোকমুখে এগিয়ে রয়েছেন পৌর জাপার সভাপতি তালা মার্কার প্রতিনিধি সদ্যসাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আব্দুল মালেক ফারুক, চশমা মার্কার প্রতিনিধি আব্দুল খালিক। তবে বেশীর ভাগ ভোটার ধারণা করছেন আব্দুল মালেক ফারুকের সাথে জাফরুল ইসলাম ও আব্দুল খালিকের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে বিগত দুটি পৌর নির্বাচনে আব্দুল খালিক শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠ ধরে রাখতে পারেননি।
আব্দুল মালেক ফারুক প্রায় ২০ বছর থেকে গণপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মেম্বার থেকে পর্যায়ক্রমে কাউন্সিলর, প্যানেল মেয়র, ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। পৌরসভার প্রতিটি গ্রামেই তার কম বেশী ভোটার রয়েছেন। তাছাড়া ১৪ দলীয় নেতাকর্মীদের ভোট বেশীরভাগই তার বাক্সে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। “ফারুক ঠেকাও” স্লোগান নিয়ে একটি গ্র“প ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছে। তবে প্রতিটি ওয়ার্ডেই আব্দুল মালেক ফারুকের ভোট রয়েছে বলে তার সমর্থকরা মনে করেন। আলমনগর গ্রামের ভোটার আবুল কালাম বলেন, দীর্ঘ দিনের গণপ্রতিনিধি হিসাবে আব্দুল মালেক ফারুক পৌর নাগরিকদের মঙ্গলে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। পৌর এলাকায় আব্দুল মালেক ফারুকের ব্যাপক সুনাম রয়েছে।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালিক কয়েকবারের সফল ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। পৌর এলাকায় রয়েছে তারও জনপ্রিয়তা। মাইজকান্দি গ্রামের ভোটার জুনাইদ আহমদ জুনেদ বলেন, যোগ্যতার বিচারে আব্দুল খালিক সেরা প্রার্থী। তিনি র্দীঘদিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে পৌরসভার জনগনের কল্যাণে নিরলস ভাবে কাজ করে জকিগঞ্জ পৌরসভাকে মডেল পৌরসভায় রুপান্তরিত করতে পারবেন।
কেছরী গ্রামের সাবেক মেম্বার ভোটার ফুরকান আহমদ মুন্সি বলেন, তরুণ সংগঠক ও সমাজসেবী হিসেবে দোয়াত কলম মার্কার প্রতিনিধি জাফরুল ইসলামের বিকল্প নেই। তিনি এলাকার উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। পৌর এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানে তার রয়েছে অকল্পনীয় অবদান। পৌরসভার জনগনের ভালবাসায় ১৮ অক্টোম্বর তিনি বিপুল জনসমর্থন নিয়ে মেয়র পদে সিক্ত হবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডেই জাফরুল ইসলামের ভোট রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। শুনা যাচ্ছে পৌর এলাকার পূর্বাঞ্চলের মাইজকান্দি, বিলেরবন্দ ও পঙ্গবট কেন্দ্রে আব্দুল খালিকের প্রাধান্য থাকবে কিন্তু আব্দুল মালেক ফারুক ও জাফরুল ইসলামের সর্মথকরাও এই কেন্দ্রগুলোতে নিজেদের পে ভোটারের রায় আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ৫ প্রার্থীর মধ্যে সমাজসেবী আব্দুর রহমান লুকু ও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ইমরান আহমদও ভোট যুদ্ধে বসে নেই। এই দুই মেয়র প্রার্থীর কর্মী, সর্মথক ও শুভার্থীরা তাদের প্রার্থীর বিপুল ভোটে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
উল্লেখ্য দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে গত ২০ জুলাই পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগ আহবায়ক আনোয়ার হোসেন মৃত্যু বরন করার পর এ পৌরসভা শুণ্য ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। কাল শনিবার এ পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচন অনুষ্টিত হবে।