ধূমপান রোধ ও তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রতিরোধে হবিগঞ্জে ওয়ার্কশপ

১৮ বছরের নিচে শিশুদের কাছে তামাক বিক্রি নিষিদ্ধ

anti tobacco 16-10-2014মুরাদ বকসঃ পাবলিক প্লেস, পাবলিক পরিবহনে ধূমপান রোধ ও তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রতিরোধে হবিগঞ্জে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেটের এনজিও সংস্থা সীমান্তিক ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুর রউফ। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নাল আবেদীন। কর্মশালায় জেলা প্রশাসক বলেন, একজন ধূমপায়ীর পাশে থাকা একজন সুস্থ্য ব্যক্তি বেশি আক্রান্ত হয়। ধুমপায়ীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করার পাশাপাশি তামাকের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন প্রকাশে ধূমপায়ীদের বিরুদ্ধে ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩শ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক দীলিপ কুমার বনিক। অনান্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারহানা কাউনাইন, সদর থানার ওসি (তদন্ত) দেওয়ান নূরুল হক, হবিগঞ্জ প্রেসকাব সভাপতি মোহাম্মদ নাহিজ, সাংবাদিক মোঃ রহমত আলী প্রমূখ। সভায় উপস্থিত ছিলেন, সীমান্তিক তামাকমুক্ত সিলেট প্রকল্পের এ্যাডভোকেসী অফিসার মোঃ মিজানুর, মিডিয়া অফিসার মুরাদ বক্স, প্রজেক্ট অফিসার শেফালী বেগম, একাউন্ট অফিসার আরিফুর রহমান ও ফিল্ড অফিসার সৈয়দ হামিদ আহমদ। কর্মশালায় ধূমপানের তিকর দিক ও নিষিদ্ধ স্থানগুলি মাল্টি মিডিয়ায় প্রদর্শণের মাধ্যমে উপস্থাপনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ডাঃ সাইফুল ইসলাম। সভায় বক্তারা বলেন, ধুমপানে মানবদেহে বিভিন্ন স্থানে গলায়, ফুসফুস, জিহ্বায় ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, হৃদরোগ ও গর্ভের সন্তানের তি হয়। তারা বলেন, হাসপাতাল, পাবলিকপ্লেস, শিা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, বেসরকারি অফিস, যানবাহন, হাসপাতাল, প্রোগৃহ, বিপণী বিতান, পাবলিক টয়লেট, শিশুপার্ক ও মেলায় ধূমপান সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। এসবস্থানে ধূমপানকারীদের বিরুদ্ধে আইনের মাধ্যমে শাস্তিার বিধান রয়েছে। তাছাড়া ধূমপানের বিজ্ঞাপন, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, পোস্টার, বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড প্রোগৃহে প্রদর্শণসহ সকল প্রকার প্রচার ও প্রকাশ করা নিষেধ রয়েছে। এমনকি অপ্রাপ্ত (অর্থাৎ ১৮ বছরের নিচে) বয়স্কদের নিকট তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা বা করানো শাস্তি যোগ্যঅপরাধ। কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, ডাক্তার, সাংবাদিক ও সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করেণ। শেষে অংশগ্রহন কারীরা দলীয়ভাবে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের তিকর দিকগুলির উপস্থাপনা করেণ।