মৌলভীবাজারে আওয়ামীলীগ পরিচয়ে সরকারী গাছ কাটার মহোৎসব

Tree cut by A Leageমৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় দীর্ঘদিন থেকে সড়কের পাশের সরকারি গাছ কাটার মহোৎসব চলছে। উপজেলার রাজনগর-বালাগঞ্জ ও পানিউন্নয়ন বোর্ডের (পাউবি) বাঁধ বাজার থেকে কাশিমপুর সড়কের পাশের গাছ প্রতিদিনই কেটে নিচ্ছে দুর্বত্তরা। বিশেষ করে গত ১ বছর ধরে রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়কের পাশের হাজার হাজার আকাশি, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কেটে নিয়ে গেলেও দেখার কেউ নেই। এনিয়ে বেশ কয়েকবার উপজেলার আইন শৃঙ্খলার বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুজিবুর রহমান নিজেও দেখেছেন বলে স্থানীয়দের দাবী। কিন্তু গাছ খেকোরা প্রভাবশালী হওয়ায় এদের বিরুদ্ধে কেউই কথা বলছে না।সরেজমিন এসব সড়ক ঘুরে স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, উপজেলার রাজনগর-বালগঞ্জ সড়ক, রাজনগর-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়ক, বাঁদ বাজার-কালারবাজার-খেয়াঘাট সড়কের পাশের মূল্যবান গাছ কাটা হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে।কাছ খেকোরা সরকার দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী।এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার,সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ সবার কাছে মৌখিক অভিযোগ করা হয়েছে।কিন্তু প্রশাসন থেকে এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযোগকারীকে বলা হয় লিখিত অভিযোগ দিতে।কেউ লিখিত অভিযোগ দিয়ে হয়রানী হতে চায়না বলে প্রশাসন থেকে ও নেয়া হয়না ব্যবস্থা।এভাবে বছরের পর বছর চলছে গাছ কাটা। বিশেষ করে গত কয়েকমাসে এলজিইডির অধিন রাজনগর-বালাগঞ্জ পাঁচগাঁও ইউনিয়নের কেউলাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের পাশে রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়কের হাজার হাজার মূল্যবান গাছ কেটে নেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেওলা গ্রামের একজন জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালী এক সুদী ব্যবসায়ী প্রায় প্রকাশ্যেই প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যার পরপরই গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কিশোর (১৬) জানায়, আমরা প্রতিদিন দেখি কারা গাছ কেটে নিয়ে যায়। নিষেধ করার ক্ষমতা আমাদের নাই। প্রতিদিন ফজরের আজানের সঙ্গে সঙ্গে ও রাত ৮টার পরই শুরু হয় গাছ কাটা। একদিন একটি গাছ অল্পের জন্য একটি যাত্রীবাহি বাসের উপর পড়ে গিয়েছিল। গাছ কেটে গুড়ির উপর কাদা-মাটি মেখে দেয়া হয়। যাতে পুরনো কর্তন মনে করা হয়।পাঁচগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি দাস মঞ্জু বলেন, আইনশৃঙ্খলার বৈঠকে আমি বিষয়টি তুলেছি। এর আগেও বৈঠকে আলোচনা করেছি। রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে এব্যাপারে কোন অভিযোগ আসেনি। তবে আমি ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে কাটা গুড়ি পড়ে আছে দেখেছি। গাছগুলো এলজিইডির ও স্থানীয়দের যৌথ মালিকানায় থাকার কথা। কি ব্যবস্থা নেয়া যায় দেখছি।