রাজনগর ডাকবাংলো এখন নিশিকন্যাদের লীলাস্থল

Dak Bangla Rajnogorকমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় পরিত্যক্ত সরকারী ডাকবাংলোয় প্রতিদিন মদ, গাঁজা সেবন ও জুয়ার আসর বসে। রাতের আঁধারে চলে নিশি কন্যাদের বিচরণ। স্থানীয় কতিপয় বখাটে যুবক রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে চালিয়ে যাচ্ছে এসব অপকর্ম। জেলা পরিষদের মালিকানাধীন এ ভবনের কোন সংস্কার না করায় ও এর লোকবল অন্যত্র সরিয়ে নেয়ায় এতে আস্থানা গেড়েছে মাদকাসেবী ও জুয়াড়ীরা। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়কের পাশে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন এ ডাকবাংলোটি একযুগেরও বেশি সময় থেকে পরিত্যক্ত। আগের পাবলিক লাইব্রেরির স্থানে নতুন ডাকবাংলো নির্মাণ করায় প্রাচীর ঘেরা পুরাতন এভবনটির কোন খোঁজই রাখা হয় না। লোকবলও স্থানান্তরিত হয়েছে ভিন্ন স্থানে। করা হয় না সংস্কারও। দিনদুপুরে অবাঞ্চিত লোকজনের আনাগুনা আর রাতের আঁধারে চলে জুয়া ও নিশি কন্যাদের লিলাখেলা। এসব অপকর্মে বখাটেরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকায় মুখ খোলেন না সাধারণ মানুষ। এতে একচ্ছত্র আধিপত্য চালিয়ে যাচ্ছে জুয়ারী ও মাদকাসক্তরা। মূলভবনের কয়েকটি দরজায় পুরাতন কয়েকটি তালা থাকলেও ঝুলছে নতুন তালাও। বখাটেরা নিজেদের ইচ্ছেমতো প্রবেশ করে চালিয়ে যায় অপকর্ম। গত বুধবার দুই মাদকাসক্ত দিনের বেলায় গাঁজা সেবন করতে গেলে স্থানীয় কতিপয় যুবক দেখে ফেলে। তারা তার পিছু নিয়ে ভবনের ভেতরে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যায় বখাটেরা। পরে তারা রাজনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করে। রাজনগর থানার এসআই আলাউদ্দীন ডাকবাংলো পরিদর্শনে যান। ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের সামনের দরজায় তালা ঝুলানো রয়েছে। পেছনের একটি দরজায় নতুন তালা ঝুলানো। দরজার ফাঁক দিয়ে দেখা যায় ভেতরে বিছানার মতো করে কাপড় পাতা। পাশে রয়েছে পানির ৩০-৩৫টি বোতল। সামনের বারান্দায় ছড়ানো-ছিটানো তাস। অবস্থা দেখে ধারণা হয়, এই তালা খুলে ভবনের ভেতরে প্রবেশ করা হয়। সেখানেই চলে মাদক সেবন, জুয়ার আড্ডা ও নিশি কন্যাদের লিলাখেলা। এসব বিষয় ওপেন সিক্রেট হলেও বখাটেদের ভয়ে প্রতিবাদ করেন না কেউ।
রাজনগর থানার এসআই আলাউদ্দীন জানান, অভিযোগ পেয়ে আমি বিষয়টি দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে কিছু পরিত্যক্ত পানির বোতল ও তাস পড়ে রয়েছে। মনে হচ্ছে মাদকাসক্ত বখাটেরা এখানে যাতায়াত করে।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইনুর আক্তার পান্না জানান, এটি জেলা পরিষদের অধীনে। শুনেছি ওনারা সেখানে মার্কেট করবেন। বখাটের বিষয়টি আমি শুনেছি।