শ্রীমঙ্গলে পল্লী বিদ্যুতের লোড সেডিং ॥ জন জীবন অতিষ্ট ॥ মানবন্ধন, প্রতিবাদসভা ও স্মারক লিপি
মধু চৌবে,শ্রীমঙ্গল থেকেঃ ঘন ঘন লোডসেডিং এর প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে সচেতন শ্রীমঙ্গল বাসী মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে। একই সাথে লোড সেডিং না কমালে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বরাবরে ভবিষ্যত আন্দোলনের আলটিমেটাম দিয়ে স্মারক লিপি দেয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল জনতা থিয়েটাররের পরিচালনায় ও সচেতন শ্রীমঙ্গলবাসীর উদ্যোগে শহরের ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব , কলেজ ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সম্পাদক বিকুল চক্রবর্ত্তীর পরিচালনায় বক্তব্যদেন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কদর আলী, সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, ব্যবসায়ী মুবাস্বির আলী মুন্না, সাংবাদিক মামুন আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা মুমিনুল হোসেন সোহেল, ব্যবসায়ী কাদির খান, জাসদ উপজেলা সভাপতি এলেমান কবির, সাংবাদিক দিপংকর ভট্টাচায্য, শামিম আক্তার হোসেন, মধু চৌবে,অনুজ কান্তি দাশ, জনতা থিয়েটারের, সুমন বৈদ্য, এম মুসলিম চৌধুরী, শিমুল তরফদার, জনি দেব নাথ, পাপন দেব, তোফায়েল আহমদ ও মিল্লাদ হোসেন প্রমূখ। সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হচ্ছে শ্রীমঙ্গল। এখানে প্রতিদিন ২/৩বার লোড সেডিং আবার বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে ও ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়। আবার ঢাকা থেকে সরাসরি আরেকবার লোড সেডিং হয়। এ বস্থায় আসন্ন দূর্গা পূজা ও প্রবিত্র ঈদুল আযহার আগে শ্রীমঙ্গলে ঘন ঘন ও অনির্ধারিত লোড সেডিং সরকারের ভিষন ২০২১ বাস্তবায়নের পরিপন্থি। উল্লেখ্য নানা ভাবে শ্রীমঙ্গলের ঘুরুত্ব বাড়ায় এখানে প্রতিদিনই বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য বিদ্যুতের বরাদ্দ বাড়ানো পরিবর্তে তা আরো কমিয়ে আনা হয়েছে। তা ছাড়া মৌলভীবাজার পল্লি বিদ্যুতের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে উদাসীনতাও শ্রীমঙ্গলবাসীকে মর্মাহত করেছে। তাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা নানান অযুহাত দেখিয়ে দায় সারেন। তারা অনেক ক্ষেত্রে পাওয়ার গ্রীডের উপর দায় চাপান কিন্তু শ্রীমঙ্গলবাসী বিদ্যুৎ কিনেন পল্লি বিদ্যুতের কাছ থেকেই। তাই তাদেরকেই ঘাটতি পুরণের ব্যবস্থা নিতে হবে। তাছাড়া এখানে বিভিন্ন ধরনে বিদ্যুৎ সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান চা কারখানা, হাসপাতাল, ডায়গনিষ্ট সেন্টার, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াকস ও ছাপাখানাসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ প্রয়োজন। এ ছাড়াও শ্রীমঙ্গলে রয়েছেন অর্ধশতাধিক পিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। যাদের অধিবকাংশই মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি তারাও ঘন ঘন লোড সেডিংএর কারনে সময়মতো সংবাদ পরিবেশন করতে পারেন না। পরে তারা শ্রীমঙ্গলের বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব, আওয়ামীলীগ নেতা আছকির মিয়া, অর্ধেন্দু দেব, বিএনপি নেতা আতাউর রহমান লাল হাজী, মো. ইয়াকুব আলী, ছাত্রলীগ নেতা মুমিনুল হোসেন সুহেল, যুবলীগ নেতা মামুন আহমদ, শিক্ষক অয়ন চৌধুরী, ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ লুৎফুর রহমান, সম্পাদক কদর আলী, প্রেসক্লাব সভাপতি গোপাল দেব চৌধুরী ও সম্পাদক বিকুল চক্রবর্ত্তীসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় ৮০জন লোকের স্বাক্ষর সম্বলিত স্বারক লিপি শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সম্পাদক বিকুল চক্রবর্ত্তী মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মাইন উদ্দিন ও এজিএম মনিরুল ইসলামের হাতে হস্তান্তর করেন। স্মারক লিপিতে বলা হয় আপামর জন সাধারণের স্বার্থ বিবেচনায় বিষয়টি আমলে নিয়ে অবিলম্বে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত না হলে প্রয়োজনে এলাকাবাসী গণতান্ত্রিক প্রকৃয়ায় বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচী গ্রহনে বাধ্য হবে।