সোহান হত্যা মামলা আসামী ছাত্রদল কর্মী কামালকে কুপিয়ে হত্যা
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেটের মদন মোহন কলেজের ছাত্র, সাবেক মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহানা বেগম শানুর ছেলে সোহান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কামাল প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন। তিনি ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী। তাকে গলাসহ বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ৮ টার দিকে নগরীর কুয়ারপাড় খুলিয়াপাড়া এলাকায় নিজ বাসার সামনে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত কামাল আহমদ (৩২) একই এলাকার নীলিমা ২৩ নম্বর বাসার মৃত সুরুজ আলীর ছেলে এবং সোহান হত্যা মামলার আসামী। নিহতের পরিবারের সদস্য আব্দুর রফ অভিযোগ করেন, রাত ৮টায় এশার নামাজ শেষে বাড়ি ফিরার পথে খুলিয়া পাড়া গলির মুখে তজিুল ও তার ছেলে রায়হান গংরা মিলে কামালকে খুন করে। এর আগেও ২৪ জানুয়ায়ি কামাল প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন। গতকাল রাতে কামাল নিহতের খবর পেয়ে তার সহকর্মীরা ওসামনী হাসাপতালে ভিড় করেন। রাতে শানুর ছেলে রেজউলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
গত ২৬ জানুয়ারি দুপুরে নিহত কলেজ ছাত্র সোহান তার ছোট বোন নগরীর জিন্দাবাজারস্থ অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী নুসরাত জাহান স্বর্ণাকে নিয়ে খুলিয়াটুলা বাসায় ফেরার পথে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কাছে আসার পর সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে সোহানের উপর হামলা চালায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সোহান নগরীর খুলিয়াটুলার নীলিমা ৫২/৪ নং নেহার মঞ্জিলের তাজুল ইসলাম ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মহিলা কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানুর ছেলে। পরে শানু বাদি হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন সন্ত্রাসীকে আসামী করে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নং ৩১ (২৮-০১-১৪)।
জানা গেছে, সাহানা বেগম শানুর সাথে স্থানীয় প্রতিপক্ষের বিরোধের জের ধরে খুন হন তার ছেলে কলেজ ছাত্র সোহান। ঘটনার পর উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ রাতে মামলার আসামি কামালের উপর হামলা করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। কামাল ছাত্রদলের রাজনীতির পাশাপাশি পাথর ব্যবসা করতেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে। পুলিশ হত্যাকারিদের ধরতে অভিযান করছে।