চা শ্রমিক নেতা রিতা কুর্মির শোক সভা কাল
মালনীছড়া রাবার শ্রমিক সংঘের সভাপতি জয় মাহাত্য কুর্মির সহধর্মীনি রিতা কুর্মির মৃত্যুতে চা শ্রমিক সংঘের পক্ষ থেকে এক শোক সভার আয়োজন করা হয়েছে। আগামি কাল শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় মালনীছড়া পূজামান্ডব ঘর প্রাঙ্গনে এই শোক সভা অনুষ্টিত হবে। শোক সভায় বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মোঃ ইয়াছিন উপস্থিত থাকবেন। শোক সভা পালনে মালনীছড়া বাগানের সর্বস্তরের শ্রমিকরা গতকাল এক প্রস্তুতি সভা করে প্রস্তুতি সম্পর্ণ করেছেন। শোক সভায় একটি লিফলেট প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১৬ আগষ্ট সকালে বাগানের তত্বাবধানে রিতা কুর্মিকে ওসমানি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকাল ৫ ঘটিকার সময় এক পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করে। চা শ্রমিকদের অভিযোগ স্বাভাবিক ডেলিভারি হওয়ার পর রিতা কুর্মি কিছুটা সুস্থ ছিল। পরবর্তিতে চিকিৎসার অবহেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরন ঘটে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরন জনিত বিভিন্ন জটিলতায় ১৮ আগষ্ট সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে। জয় মাহাত্য কুর্মির স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করার সাথে সাথে গোয়েন্দা পুলিশ জয় মাহাত্য কুর্মিকে গ্রেফতারের জন্য খুজতে থাকে। তাকে গ্রেফতারের জন্য হাসপাতালে গিরে ফেলে। কোন রকম পুলিশের হাত থেকে নিজে বাচলেও মৃত্যুর হাত থেকে রিতাকে বাচাতে পারেনি। পুলিশের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে যখন হাসপাতালে স্ত্রীর পাশে দাঁড়ায় তখন রিতার প্রায় শেষ সময়। স্ত্রী মরনাপূর্ণ অবস্তায় রেখেই পুলিশের হাত থেকে জয়কে রক্ষা পেতে হয়েছে। জয় মাহাত্য কুর্মি জানান আমার নামে কোন মামলা নেই। অতচ গোয়েন্দা এবং পুশিল আমাকে খোজে, আমি আমার স্ত্রীকে মৃত্যুর সময়ও দেখা করতে পারিনি। তিনি বলেন রিতা কুর্মির মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। এটা একটি হত্যাকান্ড। এর জন্য দায়ি বাগান মালিক এবং তার স্বার্থরক্ষাকারী পুলিশ। তিনি আরও বলেন রাবার শ্রমিক সংঘ প্রতিষ্ঠাকালিন সময়ে ২০০৪ সালে তিনি বাগান কর্তৃপক্ষের একটি মিথ্যা মামলায় ৪ মাস ১৯ দিন জেল কেটেছেন। তিনি এবং তার সহকর্মি জীবন বাউরি জেলে থাকাবস্থায় জীবন বাউরির মা বুচি বাউনি বাগানের চিকিৎসার অবহেলায় একদিনের ডায়রিয়াতে মৃত্যুবরণ করেন। আমরা চা শ্রমিক বলেই আমাদেরকে অবহেলা করা হয়। রিতা কুর্মি যদি কোম্পানির কেউ হত তাহলে এভাবে মৃত্যু হত না। বিজ্ঞপ্তি