অর্থমন্ত্রী নিজেই ‘রাবিশ’ : ড. আবুল বারকাত

barakat-and-Muhitসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ অর্থমন্ত্রী বুদ্ধিবৃত্তিক জালিয়াতি করেন। অবলীলায় মিথ্যা কথা বলেন; অন্যায় তদবির করেন। তিনি পরিবারতন্ত্রে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসকাবে ‘জনতা ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতার পাঁচ বছর ২০০৯-১৩’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন জনতা ব্যাংকের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান, অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত । সেখানে তিনি অর্থমন্ত্রীর তির্যক সমালোচনা করেন। এর আগে গত সোমবার চেয়ারম্যান হিসেবে মেয়াদের শেষ দিনে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীকে নৌকা বাইচের জন্য টাকা না দেওয়ায় জনতা ব্যাংকের সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল বুধবার তিনি বলেন, জনতা ব্যাংকের অবয়ের কথা বলে অর্থমন্ত্রী মিথ্যাচার করেছেন। এজন্য ব্যাংকের কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত। তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে জনতা ব্যাংকের ব্যাপারে মিথ্যাচার করায় ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন,
২০০৮-১৩ সাল পর্যন্ত জনতা ব্যাংকের বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরে ড. বারকাত বলেন, এ সময় রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল জনতা ব্যাংক। অর্থমন্ত্রী মানুষকে কথায় কথায় হেয় করেন। কথায় কথায় রাবিশ বলেন। তিনি নিজেই রাবিশ। তিনি আরও বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী দেশপ্রেমিক নন। মুক্তিযুদ্ধে তার অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে পারে। জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজের জেলার লোকদের পদোন্নতির জন্য অনেক বেশি তৎপর থাকেন অর্থমন্ত্রী। অন্য এলাকার মানুষের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেন। তিনি এমন কিছু তদবির করেন, যা অর্থনীতির জন্য তিকর। অর্থমন্ত্রী নিজের এলাকার দরিদ্র্যদের দেখেন না অথচ উচ্চবিত্তদের জন্য এমন কোনো কাজ নেই যা তিনি করেন না বলেও উলেখ করেন তিনি।
সোমবার বারকাতের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন জনতা ব্যাংক ছিল সবচেয়ে ভালো অবস্থানে। কিন্তু বর্তমানে জনতা ব্যাংকের অনেক অবক্ষয় হয়েছে। এর দায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকেও নিতে হবে। মূলধন ঘাটতি ও খেলাপি ঋণ অনেক বেড়েছে। প্রায় সবকিছুই খারাপ। জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে আবুল বারকাতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তা রিনিউ করা হবে না। সে কারণে তিনি এ মন্তব্য করে থাকতে পারেন।