২০ দলীয় জোট সিলেট জেলা ও মহানগরের বিক্ষোভ সমাবেশ

অবৈধ সংসদের হাতে বিচারপতিদের অবিসংশনের ক্ষমতা দেশপ্রেমিক জনগণ মেনে নিবে না
—-সিলেট জেলা ও মহানগর ২০ দলীয় জোট

20 Dol Somabesh Sylhet Zilla & Mohanogor Pic 26-08-14২০ দলীয় জোট সিলেট জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, অবৈধ আওয়ামী সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি বিধায় জনমতের প্রতি তাদের কোন শ্রদ্ধা নেই। তাই আওয়ামীলীগ অবৈধ ক্ষমতার মেয়াদ দীর্ঘায়িত করতে ্একের পর এক গণতন্ত্র বিনাশী জনবিরোধী আইন প্রণয়ন করে যাচ্ছে। বাকশালী কায়দায় দেশ পরিচালনার মাধ্যমে তারা জনগণের মৌলিক অধিকার হরন করতে ্উঠে-পড়ে লেগেছে। ২০ দলীয় জোট ক্ষমতায় যেতে নয়, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অভিসংশনের ক্ষমতা অবৈধ সংসদের হাতে ন্যস্ত করার কালো আইন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। জন রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে গণতন্ত্র বিনাশী কালো আইন সমূহ বাতিল করুন। অন্যথায় জনতার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার জোট-এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিচারপতিদের অভিসংশন আইন প্রনয়নের প্রতিবাদে নগরীর ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে সিলেট জেলা ও মহানগর ২০ দলীয় জোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।
সিলেট জেলা ২০ দলীয় জোটের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম-এর সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আহমদ, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেক ও মহানগর জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ আল মুনিম-এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মহানগর বিএনপি সহ-সভাপতি তারেক আহমদ চৌধুরী, মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মান্নান, ইসলামী ঐক্যজোট মহানগর সভাপতি মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী, মহানগর জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান, লেবার পার্টি মহানগর সভাপতি মাহবুবুর রহমান খালেদ, জাতীয় পার্টি (বিজেপি-আন্দালিব পার্থ) সিলেট জেলা আহবায়ক মোজাম্মেল হোসেন লিটন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির শাহীন, আ্ইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান সাবু, জেলা জমিয়তের সাধারন সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মো: শাহজাহান আলী, খেলাফত মজলিস জেলা সহ-সাধারন সম্পাদক মাওলানা শামসুদ্দিন ইলিয়াস ও জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মখলিছুর রহমান, মহানগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুক, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ ও জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি নেতা মিছবাহুল কাদির চৌধুরী ফাহিম, মহানগর বিএনপি নেতা কামাল মিয়া, হাবিব আহমদ শেলু, ডা: আশরাফ আলী, আফজাল হোসেন, সৈয়দ বাবুল, লায়েছ আহমদ, খসরুজ্জামান খসরু, জাকির হোসেন মজুমদার, শেখ ইলিয়াস আলী, জিয়াউর রহমান দীপন, কয়েস আহমদ সাদর, হুমায়ুন আহমদ, জালাল উদ্দিন শামীম, লিয়াকত হোসেন, আব্দুস শুকুর, মুকুল মুর্শেদ, আব্দুর রাজ্জাক গাজী, মহানগর জমিয়ত নেতা মাওলানা হাসান আহমদ ও সালেহ আহমদ শাহবাগী, ইসলামী ঐক্যজোট নেতা হাফিজ নওফাল, মাওলানা আব্দুল মুকিত, সদর বিএনপি নেতা আহমদুর রহমান চৌধুরী মিলু মিয়া, আবুল কাশেম, দক্ষিণ সুরমা বিএনপি নেতা শামীম আহমদ, এইচ এম খলিল, আব্দুল লতিফ, বজলুর রহমান ফয়েজ, মো: নছির মিয়া, আলাউদ্দিন আলাই, মইনুল ইসলাম তোরন, জেলা ও মহানগর ছাত্রদল নেতা আহমদ চৌধুরী ফয়েজ, আব্দুল মজিদ, আবু সালেহ লোকমান, লোকমান তালুকদার, অর্জুন ঘোষ, আব্দুস সামাদ তোহেল, এনামূল ইসলাম ফখরুল, হুমায়ুন আহমদ, বোরহান উদ্দিন, জাহেদ আহমদ, কামরুজ্জামান দীপু, সোহেল আরেফীন, বেলায়েত হোসেন মোহন, সোহেল মাহমুদ, মকসুদ আহমদ, আফছর খান, সৈয়দ রহীম আলী রাসু, আব্দুর রউফ, মীর্জা সম্রাট, লায়েক আহমদ, ওলি চৌধুরী, এনামূল হক শামীম, মোজাহিদ হোসেন জাহাঙ্গীর, আক্তার হোসেন ভীরু,
মোবারক হোসেন তুহিন, লুৎফুর রহমান, খন্দকার ফয়েজ আহমদ, রুনু আহমদ, কামরুল হাসান, মাজেদ আহমদ, সোহেল ইবনে রাজা, আশিকুজ্জামান আশিক, দিলদার হোসেন শামীম, আব্দুল্লাহ হেলাল, হেলাল উদ্দিন, নিলোৎপাল ভট্টাচার্য জয়, পারভেজ আহমদ, আফজল আহমদ, আব্দুল হাসিব, মো: রুবেল ইসলাম, নির্ঝর রায়, সাঈদ হোসেন, আলী হোসেন, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, মিছলু আহমদ রাজ, হাসানুল ইসলাম, রুমন আহমদ, জুনেদ আহমদ, পারভেজ খান জুয়েল, ফাহিম আহমদ চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম মনু প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম বলেন, সরকার রাষ্ট্র শক্তি ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না, তারা তাদের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধবংস করছে। ভোটার বিহীন প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামীলীগ দেশকে দুর্নীতি, লুটপাট, খুন, গুম ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের যে আন্দোলন শুরু করেছে চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী বলেন, অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতার খুনীদের সাথে নিয়ে ক্ষমতার মসনদ পাকাপোক্ত করতে জিয়া পরিবারকে নেতৃত্বশূন্য করার সুদুরপ্রসারী ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা বেঁচে থাকতে তাদের কোন ষড়যন্ত্রই সফল হতে দেবে না। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতিদের অভিসংশন আইন প্রণয়নের দৃষ্টতা থেকে সরে আসেন। অন্যথায় জনগণ আপনাদের ক্ষমতার মসনদ ছাড়া করবে। অবিলম্বে সিলেটের কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন জননেতা এম ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দিন। বিরোধী নেতাকর্মীদের উপর থেকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন।
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, অবৈধ সংসদের মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ বিচার বিভাগকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র জনগণ মেনে নেবে না। জনগণের স্বার্থে পরিচালিত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র শক্তি ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূলের ষড়যন্ত্র করছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ড: শফিকুল ইসলাম মাসুদের মতো একজন মেধাবী সাবেক ছাত্র নেতার উপর সরকারের রিমান্ডের নামে বর্বর নির্যাতন দেশবাসী বরদাশত করবে না। যে কোন কল্যাণ মূলক আইনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্র বিনাশী জনবিরোধী যে কোন আইন জনগণকে সাথে নিয়ে রুখে দেয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি