গোলাপগঞ্জের যুবক দক্ষিণ আফ্রিকায় খুন

jaberসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছেন সিলেটের গোলাপগঞ্জের এক যুবক। তার নাম জাবের আহমদ (২৪)। তিনি উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর রায়গড় গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকাদক্ষিণ বাজারের আল আমিন ক্লথ ষ্টোরের স্বত্তাধিকারী বাহার উদ্দিনের বড় ছেলে । শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার সময় রাত সাড়ে ১২টা বাসায় ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েছেন জাবেরের পিতা-মাতা ও আত্মীয়স্বজন।
জানা যায়, ২০০৭ সালে জাবের আহমদ আফ্রিকা পাড়ি জমান। দক্ষিণ আফ্রিকার পিটরিয়া নামক স্থানে বেশ কয়েকদিন সফলতার সাথে কসমেটিক্সের ব্যবসা করেন। বছর খানেক পূর্বে ২০/২৫ মাইল দূরবর্তী জয়হেন্সপার ষ্টেট নামক স্থানে পূর্বের দোকান স্থানান্তর করে ব্যবসা শুরু করেন।
ঘটনার দিন শুক্রবার জরুরী কাগজপত্র নিয়ে জয়হেন্সপার ষ্টেট থেকে পিটরিয়া নামক স্থানে যান।
গভীর রাত হওয়ায় গাড়ী না পেয়ে পায়ে হেটে আসার সময় পিটরিয়ার নির্জন এলাকায় পৌছামাত্র ৩/৪ জন আফ্রিকান লোক দিক থেকে দৌঁড়ে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে।
এসময় পথচারী এক মহিলা জাবেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা ওই মহিলাকে বাঁধা প্রদান করে।
পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। পুলিশ জাবেরকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। বর্তমানে তার মৃত দেহ আফ্রিকার একটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
নিহত জাবের আহমদের ছোট ভাই জুনেদ আহমদ প্রতিবেদককে জানান, ২/৩দিন পূর্বে বড় ভাই জাবের আহমদের সাথে আলাপ হয়। ঘটনার পর আফ্রিকায় অবস্থানরত পরিচিতরা আমাদের জানান সন্ত্রাসীরা ভাইকে মেরে ফেলেছে। তার মরদেহ দেশে আনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের পরিচিত একজন রোববার বাংলাদেশ থেকে আফ্রিকা গেছেন।
তিনি ব্যবস্থা করে ২/৩ দিনের মধ্যে লাশ দেশে পাঠানোর কথা রয়েছে।
জাবের আহমদের মরদেহ দেশে আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্বজনরা। ঢাকাদক্ষিণ বাজারের ব্যবসায়ী বাহার উদ্দিনের ছেলে জাবের আহমদ দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকাদক্ষিণ বাজারের ব্যবসায়ীরা। এক শোকবার্তায় ঢাকাদক্ষিণ বাজারের ব্যবসায়ী বাটা সুজ এর স্বত্তাধিকারী আনোয়ার মাছুম, জননী শাড়ী ঘরের স্বত্তাধিকারী মো. খলিলুর রহমান, মা-মনি শাড়ী ঘরের স্বত্তাধিকারী আনোয়ার হুমায়ূন শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।