নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী আসছেন ২২ সেপ্টেম্বর : মোদীর সাথে বৈঠক হতে পারে ২৭ সেপ্টেম্বর

বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি

hasina-modi1নিউইয়র্ক থেকে এনা: জাতিসংঘের ৬৯তম সাধারণ অধিবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সকালে নিউইয়র্কে আসছেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ সেপ্টেম্বর সকালে নিউইয়র্কে আসছেন। তিনি জানান, জাতিসংঘের ৬৯তম সাধারণ অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর। প্রথম দিন ভাষণ দেবেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এর আগে ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায়। সেই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে ২২ সেপ্টম্বর দুটো গুরুত্বপূর্ণ সামিট অনুষ্ঠিত হবে। একটি সামিট হচ্ছে কায়রো সম্মেলনের ২০ বছর পূর্তি ও অন্যটি হচ্ছে আদিবাসীদের নিয়ে। আদিবাসীদের নিয়ে জাতিসংঘের এটি হচ্ছে প্রথম সামিট। জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন আগামী ২৬ অথবা ২৭ সেপ্টেম্বর। এনার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের ব্যাপারে আমরা এখনো কিছু জানি না। আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই বৈঠক হতে পারে আগামী ২৭ সেপ্টম্বর। এ ব্যাপারে দুই মিশন যৌথভাবে কাজ করছে বলে সূত্র জানায়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সর্বজনীন গণসংর্ধনা দেয়ার চেষ্টা চলছে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ২৭ সেপ্টেম্বর গণসংবর্ধনার জন্য টাইমস স্কোয়ারের মেরিয়ট হোটেল বুকিং দিয়েছেন। হোটেল বুকিং দিয়েই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান গত ২০ আগস্ট বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বিবাদমান গ্রুপগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণেই ড. সিদ্দিকুর রহমান দেন দরবার করতেই বাংলাদেশে গিয়েছেন। ২৭ সেপ্টম্বরের গ্রীণ সিগন্যাল আদায় করতে গিয়েছেন। স্থায়ী মিশনের সাথে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতির দূরত্ব সৃষ্টির কারণেই তিনি ঢাকা থেকেই সবকিছু করতে চাচ্ছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের আরেকটি গ্রুপও প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়া নিয়ে তোড়জোর শুরু করেছেন।
অন্যদিকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য পদ লাভের বছর হচ্ছে এবার। ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে ড. মোমেন জানান। তিনি বলেন, ৪০ বছর গৌবজ্জে¦াল পূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘের ভিতরে সদস্য দেশসমূহকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের চেষ্টা চলছে অন্যদিকে জাতিসংঘের বাইরে সকলের অংশগ্রহণে আরেকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে।
বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ইতিমধ্যেই ষোষণা করেছে যেখানে হাসিনা সেখানেই প্রতিরোধ। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ স¤্রাট, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদার জানিয়েছেন। এয়ারপোর্ট, জাতিসংঘের সামনে এবং যেখানে শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন সেখানেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে।