বিয়ানীবাজারের চারখাইয়ে আবারো ধর্ষণ :এবার ধর্ষিত শিশু
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ চাঞ্চল্যকর দু’বোন গণধর্ষণ হওয়ার পর বিয়ানীবাজারের চারখাইয়ে আবারো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এবার ধর্ষিত হয়েছে মাত্র সাড়ে তিন বৎসরের একটি শিশু। যে শিশুটি এখনো ভালো করে পৃথিবীর আলো বাতাস অনুভব করতে পারেনি সে শিশু এভাবে ধর্ষিত হওয়ায় নির্বাক শিশুটির পরিবারসহ এলাকাবাসী। কারো মুখে যেন কোন ভাষা নেই। কেউ কল্পনা করতেও পারেনি এরকম একটি ঘটনা ঘটবে। ধর্ষণকারী পঞ্চাষার্ধো বৃদ্ধ রিয়াজ ঘটনার দিন থেকে এখনো পলাতক। কিন্তু বসে নেই রিয়াজের পরিবার। ভাইকে বাচাঁনোর জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে তারা জিম্মি করে রেখেছে । ধর্ষক রিয়াজ চারখাই ইউনিয়নের কামার গ্রামের মসুর আলীর পুত্র।
এদিকে ধর্ষনকারী রিয়াজ ও তার পরিবারের প্রভাব পতিপত্তির কারণে গ্রামের পঞ্চায়েতের লোকজন,মেম্বার চেয়ারম্যান ও সমাজপতিরা সবাই এ ঘটনার দায় এড়িয়ে চলছেন। কেউই ধর্ষিতা পরিবারের পক্ষে এগিয়ে আসছে না । ধর্ষনকারী ও তাঁর পরিবারের লোকজনের একটাই কথা থানায় মামলা করলে শুধূ ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ নয় চিরতরে এ দুনিয়া থেকেও তাদের উচ্ছেদ করে দেয়া হবে, হত্যা করা হবে তাদের। এলাকার লোকজনও ধর্ষনকারী পরিবারের ভয়ে মুখ খুলে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেননা। ধর্ষিতা পরিবার ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষক রিয়াজ আহমদ ও তাঁর ওপর দুই ভাই হোসেন আহমদ এবং জিল্লুর রহমানের হুমকীর কারনে ধর্ষন ঘটনার ১৫ দিন পরও ধর্ষিতা পরিবার থানায় মামলা করার সাহস পায়নি। ধর্ষক ও তার পরিবারের হুমকী ধমকির কারণে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হ্সাপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) দায়িত্বশীলরা ধর্ষিতার অভিভাবককে ধর্ষনকারীর নাম বলার জন্য বারবার চাপ দিলেও ভয়ে ধর্ষকের নাম বলেননি। এমতাবস্থায় টানা ৫দিন চিকিৎসা শেষে বাড়িতে এসেও তারা শান্তিতে থাকতে পারছেনা। থানায় মামলা না করার জন্য প্রতিনিয়ত তাদের দেয়া হচ্ছে হুমকি ধামকি।
জানা যায়, ২৯ জুলাই ঈদের দিন বিকাল ৫টায় চারখাই ইউনিয়নের কামারগ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। ওই দিন বিকালে দুই বোন প্রতিবেশীর বাড়িতে ঈদের আনন্দে বেড়াতে যায়। তখন তাদের বড়ভাই ঘরে ঘুমে। শিশুটির পিতা অসুস্থ অবস্থায় বিছানায়। মা সাড়ে তিন বছরের শিশুকে ঘরে রেখে চারখাই বাজারে স্বামীর জন্য ঔষধ আনতে যান। ওই ফাঁকে লম্পট রিয়াজ শিশুটিকে ঘর থেকে কোলে তুলে তার নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষন করে।এরপর শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘর থেকে বের করে দিয়ে লম্পট রিয়াজ পালিয়ে যায়। এখনো সে পলাতক।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চারখাই ইউপির চেয়ারম্যান মাহমদ আলী বলেন, আমিও এরকম একটি ঘটনা শুনেছি। একজন মহিলা এসেছিলেন আমি তাকে থানায় গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। তবে তারা এখনো কেন মামলা করেনি সে বিষয়ে আমি অবগত নই।