দক্ষিণ সুরমায় বিএনপির আহবায়ক কমিটির সভায় হাতাহাতি : সভা পন্ড

সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ হাতাহাতি ও বিশৃংখলার মধ্য দিয়ে পন্ড হয়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা বিএনপির ১০ ইউনিয়নের আহবায়ক কমিটির সভা। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় দাউদপুরে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরীর বাড়িতে এ সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে অবগত না করে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে আহবায়ক কমিটি গঠন করায় তারা বিভিন্ন ইউনিয়নের কমিটিগুলো প্রত্যাখান করেছেন। তবে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শফি আহমদ চৌধুরী জানান উক্ত সভায় কোন হাতাহাতি কিংবা সভা পন্ড হয়নি। বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী বিশৃংখলার চেষ্টা করলেও তাদের সভা থেকে বাহির করে দেওয়া হয়।
জানা যায়, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির এক সভা মঙ্গলবার মোল্লারগাও গ্রামের বিএনপি নেতা কনা মিয়ার বাড়িতে অনুষ্টিত হয়। এতে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মী, যুবদল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পরামর্শ ছাড়াই এক সাথে ১০ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়কের নাম প্রকাশ করা হয়। বৃহস্পতিবার দাউদপুরে শফি আহমদ চৌধুরীর বাড়িতে অনুষ্টিত সভায় প্রত্যেক ই্উনিয়ন বিএনপির ১১ সদস্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু জালালপুর, দাউদপুর ও কুচাইসহ কয়েকটি ইউনিয়নের তালিকা প্রকাশ কালে আপত্তি আসে উপজেলা বিএনপির আহবায়কের কাছে।
অভিযোগকারীরা বলেন দলের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে যারা ছিলেন ও মামলার আসামী হয়েছেন তাদেরকে বাদ দিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি করা হচ্ছে। এ নিয়ে উপজেলা আহবায়ক শফি আহমদ চৌধুরী ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আলী আহমদের সাথে অভিযোগকারীদের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে আলী আহমদ পন্থি লোকদের সাথে শুরু হয় হাতাহাতি। চরম বিশৃংখলার এক পর্যায়ে সভাটি পন্ড হয়ে যায়। এ সময় কয়েকজন সিনিয়র নেতা লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কয়েকজন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন একটি কুচক্রী মহল নতুন করে দক্ষিণ সুরমায় আস্তানা তৈরি করে বিএনপি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। তারা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শফি আহমদ চৌধুরীকে কু-পরামর্শ দিয়ে দলকে দ্বিধাবিভক্ত করার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়েও পকেট কমিটি গঠনের নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে মেতে উঠেছে। দলের আহবায়ক কমিটিতে আন্দোলন সংগ্রামে থেকে বিভিন্ন মামলার আসামী হয়েছেন তাদেরকে কমিটিতে না রেখে বসন্তের কুকিলের মতো আর্বিভূত লোকদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তবে যে কোন কিছুর বিনিময়ে দালাল ও কুচক্রী মহলকে প্রতিহত করা হবে।
এ ব্যাপারে শফি আহমদ চৌধুরী বলেন বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী আমাদের সভায় ঢুকে যায়। তারা দলের কোন সদস্য নয়। বিগত দিন তারাই জামায়াতের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছিলো। আমারা তাদের সভা থেকে বের করে বিতাড়িত করেছি। আহবায়ক কমিটির সভা পন্ড কিংবা হাতাহাতি হয়নি। বরং সুন্দর ও সুষ্ট ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন যারা অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন।