আনন্দ স্কুলের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রকল্প কর্মকর্তা

anonda-schoolসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ দক্ষিণ সুনামগঞ্জে আনন্দ স্কুলের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রকল্প কর্মকর্তা আবুল কালাম। আর এ কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র সিনহা। তবে তিনি বলেছেন আগামী ১০ আগস্ট প্রকল্প কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের নিয়ে বসেই এর ফয়সালা হবে। প্রকল্প কর্মকর্তা দোষী প্রমানিত হলে এর বিচার করবেন বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য রিচিং আউট স্কুল চিলড্রেন (রসক) নামে একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়। প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় “আনন্দ স্কুল’ নাম দিয়ে ৯৫ টি স্কুল খোলা হয়। প্রতিটি স্কুলে একজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। শুরু থেকে বিদ্যালয়ের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বরাদ্দ থাকলেও প্রকল্প কর্মকর্তা তা না দিয়ে টাকা আত্বসাৎ করেন। এ ছাড়া মাসিক বেতনের জন্য স্কুলের সভাপতি ও শিক্ষকের নামে হিসেবও খোলা হয়। তবে প্রকল্প কর্মকর্তা আবুল কালাম তিন/চার মাস পরপÍ বেতন দেওয়ার জন্য চেক বইয়ের পৃষ্টায় সভাপতি ও শিক্ষকের স্বাক্ষর নেন। এ নিয়ে শিক্ষকদের অসন্তোষ দেখা দেয়। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কান পর্যন্ত গেলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
বরং তাঁর আশয়-প্রশ্রয় পেয়েই ওই প্রকল্প কর্মকর্তা অনিয়ম-দুর্নীতির সাহস পেয়েছেন বলে একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেছেন। সর্বশেষ গত ১৭ জুলাই একটি শিক্ষক প্রতিনিধি দল বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। তাঁরা বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি।
এ ব্যাপারে প্রকল্প প্রশিক্ষক সৈয়দ সৈয়দ মহিজুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের একটা অবিযোগ ছিল তবে এর মীমাংশা হয়েগেছে। আর এ নিয়ে ঘাটঘাটি না করাই ভালো। প্রকল্প কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, শিক্ষকরা নিয়মিত তাদের সম্মানি পাচ্ছেন। কোন সমস্যাইতো হচ্ছেনা । কোন অভিযোগ থাকলে শিক্ষা কর্মকর্তা এটা দেখবেন। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র সিনহা বলেন, এ প্রকল্প নিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ আসছে। ১০ আগস্ট প্রকল্পের সাথে জড়িত ও শিক্ষকদের নিয়ে বসবেন বলে তিনি জানান।