ফুল ছিঁড়ায় স্কুল ছাত্রকে আছড়িয়ে হত্যা

Chadpurসুরমা টাইমস ডেস্কঃ চাঁদপুরে ফুল ছিঁড়াকে কেন্দ্র করে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্র মো. শান্ত মোল্লাকে (৭) এক সন্ত্রাসী কর্তৃক আছড়িয়ে ও শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে। শান্ত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
তার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের সাহেব বাজার এলাকায়। সে ৭১নং চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় শান্তর পিতা মো. আবু ছায়েদ মোল্লা শুক্কুর বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, গত ১লা এপ্রিল সকাল ১০টায় শান্ত বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত জবা ফুল গাছ থেকে শখের বসে একটি ফুল ছিঁড়ে। এ সময় স্কুলের পাশের বাড়ির মোতালেব গাজীর ছেলে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী আলম গাজি (৩৪) ফুল ছিঁড়াকে কেন্দ্র করে তাৎক্ষনিক শান্তকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও দু’হাতে উচিয়ে উঠিয়ে আছড়িয়ে তার পা ভেঙ্গে ফেলে এবং রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় শান্ত জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে উদ্ধার করে তার পিতা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। শান্তর অবস্থার উন্নতি না হতেই এলাকার সন্ত্রাসী আলম মোল্লা, নজরুল ইসলাম গাজী ও স্কুলের হেড মাস্টার হুমায়ুন কবির পাটওয়ারি হাসপাতাল থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায় দেশীয় চিকিৎসা করানোর জন্য। তারা তাকে উন্নত চিকিৎসা না করিয়ে লতাপাতা দিয়ে অপচিকিৎসা করায়।
এর মধ্যে গত শুক্রবার শান্তর অবস্থা মারাত্মক হলে তাকে বিকাল ৩টায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় সে দীর্ঘ ১১দিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে মৃত্যুবরণ করে।
এ ঘটনায় আলম গাজী, নজরুল ইসলাম গাজী ও হুমায়ুন কবির পাটয়ারীকে আসামী করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই আনোয়ার ও মডেল থানার তদন্ত ওসি হারিছুল হক ঘটনাস্থল গিয়ে এলাকাবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পান। পরে লাশটি হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসী হত্যার সাথে জড়িতদের বাড়িতে হামলা চালায় এবং ৭১নং চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেয়। পুলিশ হত্যার সাথে জড়িতদেরকে এলাকায় গিয়ে আটক করতে পারেনি। তারা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।