অবশেষে বিশ্বম্ভরপুরে স্ব স্ব ইউনিয়নে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ

ফতেপুর ইউনিয়নে ৭ বস্তা চাল পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার

SUNP0127-01কামাল হোসেন,তাহিরপুরঃ সুনামগঞ্জ জেলার অন্য সব উপজেলায় স্ব স্ব ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ হলেও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিত্র ছিল ভিন্ন। উপজেলার ১৮০টি গ্রামের লোকজনই বিশ্বম্ভরপুর সদর খাদ্য গোদাম থেকে ভিজিএফ, ভিজিডি সহ নানা জরুরী ত্রাণ সংগ্রহ করা হত। জানা যায়, ভিজিএফ এর ১০ কেজি চাল নিতে এসে ৫ কেজির টাকা যাতায়াত ভাড়া হিসাবে চলে যেত। সম্প্রতি ভিজিএফ-ভিজিডি ভোক্তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুলেমান তালুকদার, স্ব স্ব ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণের জন্য প্রশাসনের নিকট জোড় তাগিদ দেন এর প্রেক্ষিতে ভোক্তারাও স্বারক লিপি দেন। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন জাতিয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্শন হয়। বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তার নজরে আসে। পরে ১৭ জুলাই হতে এই প্রথম বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়ন থেকে ভিজিএফ এর চাল বিতরণের মধ্যে দিয়ে স্ব স্ব ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ প্রক্রিয়াটি শুরু হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.মানিক মিয়ার কাছ থেকে জানা যায়, চলতি ভিজিএফ- বরাদ্দে দরিদ্র পরিবারপ্রতি ১০ কেজি করে চাল বিতরনের নিয়ম রয়েছে। সলুকাবাদ ইউনিয়নে ১৭৭৪ জনকে, বাদাঘাট (দঃ) ১১৮৭ জন, ধনপুর ইউনিয়নে ১৭৭৪জন, ফতেপুর ইউনিয়নে ১৩১৭জন, পলাশ ইউনিয়নে ১৩৭১ জন, উপজেলায় মোট ৫টি ইউনিয়নে ৭ হাজার ৪ শ ২৩ জন প্রাপ্য হবেন। ১৯ জুলাই বাদাঘাট (দঃ) ইউনিয়নে বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২১ জুলাই পলাশ ও ধনপুর ইউনিয়নে ভিজিএফ বিতরণ হবে বলে জানা যায়। উলেখ যে, ১৯ জুলাই ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ কালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মানিক মিয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সুলেমান তালুকদার পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান তালিকাভূক্ত প্রায় দেড় শতাধিক চালের জন্য স্লিপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু স্লিপ থাকা সত্ত্বেও চালের ঘাটতি দেখা দেয়,অতঃপর লোকমহলে চাল গায়েব হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি আমলে নেন এবং সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদের পার্শবর্তী এক বাড়ির আঙ্গিনা থেকে খাদ্য গোদামের সীল সহ ৭ বস্তা চাল উদ্ধার করে স্লীপধারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান শামছুজ্জামান শাহ জানান,
পরিত্যাক্ত চাল আমাদের মাধ্যমে এখানে যায়নি। হয়তোবা ব্যবসায়িরা স্লীপধারীদের কাছ থেকে কিনে এখানে রেখেছেন। তবে খাদ্য গোদামের নাম লিখা বস্তা এখানে কি করে গেল ? সাংবাদিক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এ প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেননি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইউএনও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। অন্য দিকে চাল না পাওয়া অপেক্ষামান স্লীপারীদের মধ্যে ১৫ বস্তা চাল ফতেপুর ইউপি চেয়াম্যানের দায়িত্বে কিনে নিয়ে বিতরণ করা হয়। চাল শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, চাল বিতরণে কিছু অনিয়ম হয়েছে তাই চাল কম পরেছে বলে দাবি করেন। তবে বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসি বিষয়টির সঠিক তদন্তের দাবি করেন। এ বিষয় নিয়ে ফতেপুর ইউনিয়ন এলাকায় ব্যপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।