মদনমোহন কলেজের সেই ছাত্রীকে বিয়ানীবাজর থেকে উদ্ধার
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়া থেকে মদনমোহন কলেজের নাসরিন আক্তার নামের অপহৃত সেই ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় সময় বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপারা ইউনিয়নের দাসউরা গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পরে তিলপারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। রাত ২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নাসরিনকে চেয়ারম্যানের হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজদ সুরমা টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত সোমবার সকাল ৯টায় মদনমোহন কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নাসরিনকে অপহরন করে দুর্বৃত্তরা। পরে ওই দিন রাতে সিলেট কোতোয়ালী মেডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নাসরিনের ভাই সেলিম। এরপর বুধবার সেলিম বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানা পুলিশ দুপুর ১টায় জিন্দাবাজার এলাকা থেকে এজহারভুক্ত আসামী শরীফ আহমদকে গ্রেপ্তার করে। পরে দক্ষিন সুরমার সিলাম থেকে অপর আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে। ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপারা ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে দিবাগত রাত ১২টার দিকে নাসরিনকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে পুলিশ বিয়ানীবাজার অভিযানে যাচ্ছে খবর পেয়ে মূল অপহরণকারী নাসরিনকে তিলপারা ইউনিয়নের দাসউরা গ্রামের একটি রাস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন নাসরিনের ভাই সেলিম।
প্রসঙ্গত, নাসরিন আক্তারের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার হরিরামপুরে। তার পিতা আব্দুল মোত্তালিব। মদন মোহন কলেজে লেখাপড়ার করার সুবাদে নাসরিন আক্তার নগরীর দাড়িয়াপাড়াস্থ মেঘনা বি/৩০ নং বাসায় বসবাস করতেন। ৫ তলা বিশিষ্ট এই বাসার ৫ম তলায় নসরিনসহ ৪ জন ছাত্রী মেচ করে থাকতেন।
সোমবার সকাল ৯টায় পরিক্ষা দেয়ার জন্য নাসরিন ও তার মেচের আরেকজন ছাত্রী বাসা থেকে বের হন। ঠিক ওই সময় বাসার নিচে একটি সিএনজি রাখা ছিলো। সিএনজিতে ৪-৫ জন যুবক ছিল। নাসরিন ও তার সহপাঠি বাসার নিচে নামার সঙ্গে সঙ্গে সিএনজিতে থাকা যুবকরা নাসরিনকে সিএনজিতে তুলে নেয়। পরে কিছু দূরে রাখা একটি মাইক্রবাসে করে নাসরিনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় নাসরিনের সঙ্গে থাকা ছাত্রী সিএনজির নাম্বার মূখস্ত করে ফেলে। নাসরিনের সহপাঠি ছাত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী সিএনজি নাম্বার হলো- ট-১২-৭৪৯৫। পরে মঙ্গলবার পুলিশ ওই সিএনজির চালকসহ সিএসজিকে আটক করে।