জিলু ও তৌহিদ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে ২য় দফা ৩ দিনের কর্মসূচীর শেষ দিন
এসএমপি কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেট মহানগর ছাত্রদল নেতা ও গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিল্লুল হক জিলু ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের হত্যাকারী এবং তাদের মদদ দাতাদের গ্রেপ্তারের দাবীতে ২য় দফা ৩দিনের কর্মসূচীর শেষ দিন রোববার দুপুরে সিলেটের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ও ইলিয়াস মুক্তি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদান কালে উপসি’ত ছিলেন মহানগর ছাত্রদল নেতা ও ইলিয়াস মুক্তি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম সাজু, এম সি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদল নেতা ও ইলিয়াস মুক্তি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক আবদুল কাইয়ুম, ল’ কলেজ ছাত্রদল নেতা ও ইলিয়াস মুক্তি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক কামাল হোসেন, ছাত্রদল নেতা হামিদ হোসেন, সরকারী কলেজ ইলিয়াস মুক্তি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক বদরুল আজাদ রানা, ল’ কলেজ ইলিয়াস মুক্তি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব আবু আম্বিয়া, এম সি কলেজ, সরকারী কলেজ, মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ল’ কলেজ ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা সাদিক শিকদার, আব্দুল মোতাকাব্বির সাকি, শরিফুল ইসলাম জুনায়েদ, সদরুল ইসলাম লোকমান, ইমরান হোসেন, ইকবাল হেসেন, সিহাব আহমদ, শেখ নজরুল ইসলাম রেদোয়ান প্রমুখ। স্মারক লিপিতে বলা হয় চাঁদা না দেওয়ায় গত ৪ জুন ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের আপ্যায়ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলামকে নির্মম ভাবে হত্যা করে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। ১ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন- ১ জন ছাড়া কোন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়নি। স্মারক লিপিতে বলা হয়, তৌহিদ হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ২৭ জুন ২০১৪ইং শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় (প্রায়) নগরীর মদিনামার্কেট এলাকায় সন্ত্রাসী মাহবুব কাদির শাহী, কাজী মেরাজ, জামাল আহমদ ওরফে কালা জামাল, গাজি লিটন, নেছার আলম শামীম, দেওয়ান আরাফাত জাকি, ইমাদ, বোবা জেহিন, হেলাল, সালেহ সহ ২০/২৫জন সন্ত্রাসী নির্মমভাবে হত্যা করে মহানগর ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিলুকে। বেশ কিছুদিন ধরে মাহবুব কাদির শাহী সহ উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা জিল্লুল হক জিল্লুকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ২৬ মে ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিল্লু নিজের ফেইসবুক আইডিতে এই হুমকির কথা লিখেছিলেন। ২৭ জুন সন্ত্রাসীরা এই হুমকির বাস-ব প্রতিফলন ঘটায়। প্রায় ১০দিন অতিবাহিত হতে চললেও অদ্যবধি জিল্লুর খুনী সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হয়নি। এমনকি গ্রেফতার করার কোন তৎপরতাও লক্ষ্য করা যায়নি। উপরন’ জিলু হত্যাকান্ডের মামলার বাদী স্বাক্ষীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ইতোমধ্যে হত্যাকান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জিলু হত্যা মামলার প্রধান আসামী মাহবুব কাদির শাহী এবং মামলার অন্যতম আসামী কালা জামালের ভাই বাদী হয়ে যারা জিলু হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভূয়া মামলা দায়ের করেছে। একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামী হয়েও থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করা গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বহন করে। স্মাকর লিপি’তে বলা হয়, একটি মহল জিলু হত্যকারীদের রক্ষা করতে বিভিন্ন ধরনের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলছি, জিলু হত্যকারীদের রক্ষার ষড়যন্ত্র করলে এবং অবিলম্বে খুনীচক্র ও তাদের মদদ দাতাদেরকে গ্রেফতার না করলে সিলেট জুড়ে দুর্বার ছাত্র গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। স্মারক লিপিতে অবিলম্বে মেধাবী ছাত্রনেতা জিল্লুল হক জিলু ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের হত্যাকারী সন্ত্রাসী এবং তাদের মদদ দাতাদের গ্রেফতার করে ফাঁসির কাঠগড়ায় দাড় করানোর দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি জিল্লু হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন কারী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি আবদুল আহাদ খান জামাল, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মতিউল বারী চৌধুরী খুর্শেদ, জেলা ছাত্রদলের সহ-প্রচার সম্পাদক আজিজুল হোসেন আজিজ এবং জিলু হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী ভূলন কানি- তলুকদারসহ নিরপরাধ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।