বিশ্বনাথে ঝুঁকিপূর্ন আঙ্গারুকা ব্রীজ যানচলাচল : দূর্ঘটনার আশংকা

bishwanath angarukaসুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের আঙ্গারুকা গ্রামে অবস্থিত বেইলী ব্রীজটি দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ন হয়ে আছে। যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে অবলম্বন করতে হচ্ছে অত্যন্ত সর্থকতা। যেকোন সময় ব্রীজটি ভেঙ্গে গিয়ে ঘটতে পারে মারাত্মক দূঘর্টনা। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ পথে যাতাযাত করতে হচ্ছে যাত্রী সাধারনকে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার থেকে বঞ্চিত এই ব্রীজটি এখন জনসাধারনের মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ব্রীজটির এক পাশের রেলিংও ভাঙ্গা। এ ব্রীজ দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ন হলেও জীবন জীবিকার তাগিদেই এসব গাড়ীর চালকগণ ঝূঁকি নিয়েও গাড়ী পারাপার করেন ব্রীজের উপর দিয়ে।
দেখাগেছে, বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের ওই ব্রীজটি দিয়ে পারাপার হয় শত শত বাস, ট্রাক, লাইটেস, লেগুনা, কার, জীপ, টেম্পু, ফোরষ্টক, বেবী টেক্সী, রিক্সা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন রকমের যানবাহন। সড়কটি সিলেট সদর কিংবা বিশ্বনাথ উপজেলার সাথে জগন্নাথপুর উপজেলার যোগাযোগের প্রধান সড়ক হওয়ার কারনে “বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কে” তাই ব্যস্থতা সব সময়ই বেশি। তাই ঝুঁকিপূর্ন হলেও জীবিকার তাগিদেই এ ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক কিংবা ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে চালকদেরকে।
বাস চালক আতাউর বলেন, আমাদের পেশাটাইতো একটি ঝুঁকিপূর্ন পেশা। এরসাথে জীবিকার তাগিদেই আমাদেরকে অনেক ঝূকিপূর্ন সড়ক ও ব্রীজ পারাপার হতে হয় গাড়ী চালাই।
ট্রাক চালক খবির আলী বলেন, বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কে এধরনের আরো কয়েকটি ঝূঁকিপূর্ন ব্রীজ-খালভার্ট রয়েছে। যেগুলো আমাদেরকে ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করতে হয়। তাছাড়া জগন্নাথপুর থেকে সিলেট যাওয়ার সময় কিংবা সিলেট থেকে জগন্নাথপুর যাওয়ার সময় বিশ্বনাথ উপজেলা সদর হয়ে যেতে চাইলেই আমাদেরকে এ ব্রীজটি দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। তাই অনেক সময় ঝুঁকি নিয়েই আমরা আসা-যাওয়া করি। অনেক সময় ক্রেতাদের খরচ বাঁচাতেই আমরা অতিরিক্ত মালামাল বহন করতে হয়। লাইটেসের চালক নছির আলী বলেন, আঙ্গারুকা ব্রীজটি শীঘ্রই পুনঃনির্মান কিংবা সংস্কার না করা হলে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘনা ঘটে যেতে পারে। এতে মারাত্মক ক্ষতি সাধন হওয়ারও সম্ভবনা রয়েছে।
বিশ্বনাথ উপজেলার মন্ডলকাপন গ্রামের মহব্বত আলী জাহান বলেন, বর্তমানে ব্রীজটিও অবস্থা অত্যন্ত করুন। ব্রীজটিতে শীঘ্রই সংস্কার কিংবা পুর্ণঃনির্মান করা না হলে যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া বলেন, কিছু সময় লাগবে। ঝুঁকিপূর্ন ব্রীজের নির্মানের কাজ করা হবে।