জকিগঞ্জে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও প্রশাসন মুখোমুখী

ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পেলেন তিন কর্মকর্তা

magistrate courtজকিগঞ্জ প্রতিনিধি: জকিগঞ্জ পল্লী বিদুৎ অফিসের ডিজিএম আকতারুজ্জামানকে ডেকে নিয়ে জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আকবর হোসেন বিদ্যুতের লোডশেডিং সম্পর্কে তথ্য জানাকে কেন্দ্র করে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নুরুজ্জামানের যোগসাজসে গতকাল বুধবার জকিগঞ্জে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট ও প্রশাসন মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদের মধ্যস্থতায় ক্ষমা চেয়ে আদালত অবমাননার শাস্তি থেকে রক্ষা পান জকিগঞ্জের যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নুরুজ্জামান, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আকতারুজ্জামান, পিআইও শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকালে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আকবর হোসেন আদালত অবমাননার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ সময় ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পান তিনি। যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা উপজেলা কমপ্লেক্সে এসে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের জড়ো করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেটের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলে কর্মবিরতি পালনে উৎসাহিত করেন। তার পক্ষ নিয়ে যুব উন্নয়ন, পিআইও, মহিলা বিষয়ক, শিক্ষা, মৎস্য , পজীপ, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা তাদের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন। সকাল এগারটা থেকে দুপুর সাড়ে বারটা পর্যন্ত জকিগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখেন ডিজিএম। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সেবা বন্ধ রাখেন চিকিৎসকরা। উপজেলায় কর্মবিরতির খবর পেয়ে স্থানীয় হাজারো জনতা উপজেলা কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে ম্যাজিস্টেটের পক্ষ নিয়ে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা,ডিজিএম ও পিআইওর বিরুদ্ধে মিছিল সমাবেশ করে। ক্ষুব্ধ জনতা দুর্নীতিবাজ এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেয়। জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আকবর হোসেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকতা নুরুজ্জামান, ডিজিএম আকতারুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) শাহাদৎ হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের মৌখিক নির্দেশ দেন পুলিশকে। স্থানীয় জনতা ডিজিএমের বিরুদ্ধে মিছিল করায় দুপুর একটায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। উপজেলা পতাকা মঞ্চে তাৎক্ষনিক আয়োজিত এক সভায় বক্তারা বলেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ১৯৯৮ সালে জকিগঞ্জে যোগদান করার পর থেকে দীর্ঘ ১৬ বছর অবস্থান করে বিভিন্ন সময় বিতর্কিত ভ’মিকা পালন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করাসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন বক্তারা। আ.লীগ নেতা এম এ হাফিজ বকুল, পৌর যুবলীগ সভাপতি এম এ সালাম, সালেহ আহমদ জালালী, আব্দুস শহীদ, বিএনপি নেতা মঈন উদ্দিনসহ বক্তারা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবী করেন। পৌর যুবলীগ সভাপতি এম এ সালাম বলেন, বিভিন্ন সময় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা উপজেলা প্রশাসনে কলম বিরতি পালন মূখ্য ভ’মিকা পালন করেন। ওসি জামসেদ আলমের নেতৃত্বে উপজেলা কমপ্লেক্সে গতকাল বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সুরাহা হয়েছে গতকাল দুপুরে । জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে হাজির হয়ে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নুরুজ্জামান, ডিজিএম আকতারুজ্জামান, পিআইও শাহাদাত হোসেন ভ’ইয়া ক্ষমা প্রার্থনা করে আদালত অবমাননার শাস্তি থেকে রক্ষা পান।