মুখোশ খুলতে শুরু করেছে মোদির

modiসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ একমাসের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদি সরকারের মুখোশ খুলতে শুরু করেছে। সাম্প্রদায়িক বিজেপি’র নেতৃত্বে এই সরকার তার ফ্যাসিবাদী চেহারা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করছে। বিচারবিভাগের নিরপেক্ষতায় আঘাত দিয়ে মোদি সরকার তার আসল চেহারা প্রকাশ করতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী পদে বসেও নরেন্দ্র মোদি প্রশাসনিক নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে পারছেন না। কর্পোরেট প্রচারে গুজরাট গণহত্যার ছাপকে আড়াল করেছেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু গুজরাটে গণহত্যাকে মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি নরেন্দ্র মোদির পক্ষে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাই চান না কোনোভাবেই গুজরাট গণহত্যা নিয়ে ভবিষ্যতে বিপাকে পড়তে। বিশেষ করে দেশের শীর্ষ আদালত নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন, চিন্তিত। শীর্ষ আদালতে এমন কোনো বিচারপতি তিনি চান না যিনি গুজরাট গণহত্যা বা ওই সংক্রান্ত কোনো ঘটনায় অভিযুক্তদের অসুবিধায় ফেলেছিলেন। সে কারণেই প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল গোপাল সুব্রহ্মণ্যমকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পদে চায় না কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম যে চারজনকে দেশের শীর্ষ আদালতে বিচারপতি পদে নিয়োগে সুপারিশ করেছে তাদের মধ্যে গোপাল সুব্রহ্মণ্যমও আছেন। নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ, গুজরাটের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছিলেন গণহত্যার অন্যতম সেনাপতি। সেই অমিত শাহকে সোহরাবুদ্দিন শেখকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়। ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আদালত বান্ধবের ভূমিকা পালন করেছিলেন গোপাল সুব্রহ্মণ্যম। ওই মামলায় একতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় বিপদে পড়েছিলেন অমিত শাহ। সেই প্রবীণ আইনজীবীকে কি করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হতে দিতে পারেন নরেন্দ্র মোদি? তাই এই ভাবী বিচারপতি সম্পর্কে কিছু গল্প বানানো হচ্ছে। যদিও দেশের গোয়েন্দা সংস্থা আইবি এবং সিবিআই গোপাল সুব্রহ্মণ্যমের বিরুদ্ধে কোনো রিপোর্টই দাখিল করেনি। ওই ভাবী বিচারপতি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তার সম্পর্কে ‘আবর্জনা’ খোঁজার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। এই পরিস্থিতিতে ওই বিশিষ্ট আইনজীবী সরকারকে সমালোচনা করেই বিচারপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছেন। রাজনৈতিক কারণে প্রশাসনিক চাপ তৈরি করে বিচার বিভাগের ওপর আঘাত হানার নজির গড়ল মোদি সরকার। অমিত শাহকে রক্ষা করতে শীর্ষ আদালতের নিয়োগে এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ অত্যন্ত লজ্জাজনক। প্রত্যেকটি গণতন্ত্র বিরোধী ফ্যাসিস্ট শক্তিই এই পথেই চলে।