নেতাই আমাকে ভারতে পাঠিয়েছেন : নূর হোসেন

nur hussainসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সোমবার রিমান্ড শেষে পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত আদালতে হাজির করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে। এ সময় আদালতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নূর হোসেন বলেছেন,সাত খুনের ঘটনায় আমি জড়িত নই।ভারতে আসা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জববে সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেছেন, আমার নেতাই আমাকে ভারতে পাঠিয়েছে।নেতা বলতে তিনি কাকে বুঝিয়েছেন সে ব্যাপারে তিনি কোনো কথা বলেননি। তবে এর আগে এক খোলা চিঠিতে নেতার প্রসঙ্গে টেনে তিনি নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের কথা উল্লেখ করেছিলেন।ভারতে পালানোর আগে শামীম ওসমানের সঙ্গে নূর হোসেনের টেলিফোন সংলাপ হওয়ার বিষয়টি পরে ফাঁস হওয়ার পর শামীম ওসমান সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় শামীম ওসমান নূর হোসেনের সঙ্গে কথা বলার সত্যতা স্বীকার করলেও নূরকে ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতার করার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তবে এর আগে সকালে নূর হোসেন কাউন্সিলর নজরুলসহ সাত খুনের ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন।
রিমান্ডেও নিজেকে বাঁচানোর জন্য সবকিছুই এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নূর হোসেন সাংবাদিকদের বলছেন, ‘আমি খুন করিনি। খুনের সঙ্গে আমি জড়িতও নই। খুনের ব্যাপারে র‌্যাবের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সে ব্যাপারেও তিনি কিছু জানেন না বলে কলকাতা পুলিশকে জানিয়েছেন। আর এই খুনের সঙ্গে র‌্যাবের সঙ্গে লেনদেনের কথাও তিনি অস্বীকার করেছেন।
ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগণার বাগুইআটি থানা থেকে নূর হোসেনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সোমবার ভারতীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে তাকে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হবে।নূর হোসেনের সঙ্গে তার সহযোগী অহিদূর রহমান সেলিম ও সুমনকেও আদালতে আনা হবে।
গত ১৪ জুন রাতে কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের কাছে কৈখালির অভিজাত আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন নূর হোসেন। ১৫ জুন রবিবার সকালে ডাক্তারি পরীক্ষা করে আদালতের ২য় অতিরিক্ত বিচারক এডুইন লেপচার কাছে পুলিশ ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নূর হোসেনের সহযোগীসহ আটকদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগ আনেন বাগুইআটি থানা পুলিশ দেবাশীষ ঘোষ। পুলিশের কাছে নূর হোসেন জানান, মে মাসে তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে সড়কপথে র‌্যাবের সহযোগিতায় সাতক্ষীরায় আসেন। পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট সীমান্ত পেরিয়ে কৈখালিতে আশ্রয় নেন। এরপর চিকিৎসা করতে আসার কথা বলে একটি তিন কামরার ফ্ল্যাট ভাড়া নেন।