মুফতি হান্নানসহ ৮ জনের ফাঁসি, যাবজ্জীবন ৬ জনের

ramna_bomaসুরমা টাইমস ডেস্কঃ বহুল আলোচিত রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার রায়ে মূল হোতা হিসাবে পরিচিত মুফতি হান্নানসহ আট জনের ফাঁসি এবং ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিচারক আদালতে বসেই রায় পড়া শুরু করেন এবং শেষ হয় বেলা সোয়া ১২ টার দিকে।এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টার মধ্যেই মুফতি হান্নানসহ ৯ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার ১৪ আসামির মধ্যে নয় জন আটক থাকলেও বাকি পাঁচ জনই পলাতক। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে- মুফতি আব্দুল হান্নান, আরিফ হাসান সুমন, আকবর হোসেন,মাওলানা মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর,মুফতি শফিকুর রহমান ও মুফতি আব্দুল হাই, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার।যাবজ্জীবন কারাদন্তপ্রাপ্তরা হচ্ছেন-মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির,শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ,ও হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া।যাবজ্জীবনদণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত।
এদের মধ্যে মাওলানা মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান ও মুফতি আব্দুল হাই পলাতক।
Mufti Hannanঘটনার ১৩ বছর পর বিচারিক আদালত ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিন ওই রায় ঘোষণা করছেন।এর আগে গত ১৬ জুন রায় ঘোষণার দিন নির্ধারিত থাকলেও রায় লেখা সম্পন্ন না হওয়ায় রায় ঘোষণার এই নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
গত ২৮ মে মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৬ জুন ঠিক করেন আদালত। কিন্তু ১৬ জুন রায় প্রস্তত না হওয়ায় তা পিছেয়ে ২৩ জুন ঠিক করেন আদালত।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল ১ বৈশাখ ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে বোমা হামলায় ১০ ব্যক্তি নিহত হন।
২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর হরকাতুল জেহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়। আদালত মামলাটিতে ২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
২০০৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলাটি ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নির্ধারিত ১৩৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৮০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
নির্ধারিত সময়ে মামলার বিচার শেষ না হওয়ায় ওই আদালত ২০১০ সালের ২৪ মে বর্তমান আদালতে অবশিষ্ট বিচার শেষ করার জন্য পাঠানো হয়। ওই আদালত গত সাড়ে তিন বছরে আরও ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর (মোট ৬১ জন) গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করেন।
গত বছর ১০ নভেম্বর আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় যুক্তিতর্ক। প্রায় ১৪টি ধার্য তারিখে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক শুনানির পর বুধবার তা শেষ হলে বিচারক রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন।